স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জের নিকলী, মিঠামইন ও করিমগঞ্জে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একই পরিবারের দুই শিশু রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কয়েক ঘণ্টার ব্যাবধানে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জেলার নিকলীতে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই জনসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিকলী উপজেলার জারইতলা ও দামপাড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, জারইতলা ইউনিয়নের শাহপুর মাইজহাটি গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে শাহীন ওরফে শায়ন (৭) ও তার চাচাতো বোন মনি আক্তার ওফে মুন (৭) বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এক সময় সবার অলক্ষে তারা পুকুরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিকলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছুল আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের জানান, কাঁঠালকান্দি গ্রামের কাজল মিয়ার মেয়ে শিশুকন্যা সুমাইয়া দুপুরের দিকে বাড়ির সামনে বর্ষার পানিতে ডুবে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই দিন জেলার মিঠামইন ও করিমগঞ্জে পানিতে ডুবে মারা গেছে আরও দুই শিশু। পুলিশ জানায়, বিকেলে বাড়ির পাশের বিলের পানিতে ডুবে মারা যায় মাহিন (৬) নামে এক শিশু। সে করিমগঞ্জ সদর উপজেলার কিরাটর গৌরারগোপ গ্রামের বাসিনন্দা ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির আলমের ছেলে।
এ দিন জেলার হাওর উপজেলার মিঠামইনের গোপদিঘী গ্রামে বাড়ির পাশে খেলা করার সময় বর্ষার পানিতে ডুবে মুক্তা (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে গোপদিঘূ ইউনিয়নের কাসাপুর গ্রামের কবির মিয়ার মেয়ে। একই দিন জেলায় ৫ শিশুর মৃত্যুতে তাদের পরিবারে শোক নেমে এসেছে।