মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিছুদিনের মধ্যেই আসছে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম


প্রকাশের সময় :৭ জুন, ২০২০ ১১:৪৮ : পূর্বাহ্ণ

রংপুর প্রতিনিধিঃ

হাঁড়িভাঙা আমের জন্য দেশে আমের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে খ্যাত রংপুর। এই হাঁড়িভাঙা আমের জন্ম নিয়ে রয়েছে চমকপ্রদ ঘটনা। প্রায় ১০০ বছর আগে যাত্রা শুরু হলেও এই আমের ব্যাপক সম্প্রসারণ শুরু হয়েছে নব্বইয়ের দশক থেকে। এই খ্যাত আমটি আর কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করবে বলে আম চাষিরা জানিয়েছে।

হাঁড়িভাঙা আমের নামকরণ প্রসঙ্গে রংপুরের মিঠাপুকুরের খোঁড়াগাছ ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, প্রায় ৮০ বছর আগে তার বাবা নফল উদ্দিন মাসিমপুর এলাকার কুমোরবাড়ির পাশে জঙ্গল থেকে একটি আমগাছ কিনেন।

আমটি খুবই সুস্বাদু হওয়ায় তৎকালীন আমলে ৫ টাকা দিয়ে সেই গাছের ১০০ আম কিনে আনেন নিজ বাড়িতে এবং আম খাওয়ার পর আমের আঁটি থেকে চারা গজায়। কুমোরবাড়ির পাশে ভাঙা হাঁড়ির টুকরোর মাঝখানে গাছটি জন্মেছিল বলে গাছটির নামকরণ করা হয় হাঁড়িভাঙা। তখন থেকেই এই অঞ্চলে হাঁড়িভাঙা আমের যাত্রা শুরু হয়।

তিনি আরও জানান, তার ৪টি হাঁড়িভাঙা আমের বাগান রয়েছে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার আমের ফলন কম হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

হাঁড়িভাঙা আমের সম্প্রসারক আব্দুছ ছালাম এ আমের জন্ম সম্পর্কে জানান, শত বছর আগে মিঠাপুকুরের বালুয়া মাসুমপুর এলাকার জমিদার ছিলেন তাজ বাহাদুর সিংহ। তিনি খুব সৌখিন মানুষ ছিলেন। তার একটি ফলের বাগান ছিল। এই বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির ফল ছিল। পেশাদার কিছু আম ব্যবসায়ী তার বাগান থেকে আম নিয়ে পদাগঞ্জ হাটে বিক্রি করতেন। সেখান থেকে হয়তো নফেল উদ্দিন এই হাঁড়িভাঙা আম ক্রয় করে আবাদ শুরু করেন। হাঁড়িভাঙা আমের জনক হিসেবে তিনি নফল উদ্দিনকেই স্বীকৃতি দিয়ে নিজেকে হাঁড়িভাঙা আমের সম্প্রসারক হিসেবে দাবি করেন। তিনি আরও জানান, ১৯৯২ সাল থেকে তিনি হাঁড়িভাঙা আমের চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি এখন রংপুরে অনেকে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান করছেন। এরই মধ্যে কয়েক লাখ হাঁড়িভাঙা আমের গাছ হয়ে গেছে। তার ২৫টি আমের বাগান রয়েছে। তিনি আশা করছেন, জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হাঁড়িভাঙা আম বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমের ফলন কম হতে পারে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর রংপুর জেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙার ফলন হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ হেক্টরে। গত বছর প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ টন। তবে এবার ফলন কম হতে পারে।

রংপুর কৃষি বেতার তথ্য কর্মকর্তা জানান, অসময়ে ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় আমের ফলন কিছুটা কম হতে পারে।

অপরদিকে, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জানান, হাঁড়িভাঙা আমের চাষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাঁড়িভাঙা আমের চারা উপহার হিসেবে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এই আম বেশি চাষ হচ্ছে রংপুরের মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জ উপজেলায় এবং কিছুটা রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাষ হচ্ছে হাঁড়িভাঙা আমের।

ট্যাগ :