বিনোদন ডেস্কঃ
হিরো আলম ও বিতর্কিত প্রবাসী সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমা’র সুপারস্টার অনন্ত জলিল। রবিবার নিজস্ব ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।
এদিকে হিরো আলমকে নিজের সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছেন অনন্ত জলিল। সেই ছবির জন্য হিরো আলমকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা সাইনিং মানিও দিয়ে ছিলেন তিনি। তবে সেই টাকা না নেওয়ার কথা বলেন অনন্ত জলিল।
হিরো আলমকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়ার বি’ষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম হিরো আলম ও জায়েদ খানের কথোপকথন। সোশ্যাল মিডিয়াতে এটা নিয়ে ভালোই প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। আমি বিষয়টি দেখে, পরের দিনই জায়েদ খানকে ফোন করে অনেক রাগারাগি করি।
ভিডিও বার্তায় অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমি কেন হিরো আলমকে ছবি থেকে বাদ দিলাম। আপনার দেখেছেন, আমি হিরো আলম ও জায়েদ খানের সঙ্গে মিটমাট করে দিই। তাদেরকে সোনারগাঁতে নিয়ে লাঞ্চ করাই। তারা আমাকে কমিটমেন্ট করে, এই বিষয়ে আর কথা বলবে না।’
‘তবে দুঃখের বি’ষয়, আজকে থেকে ২-৩ দিন আগে, আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখি হিরো আলম সেইম টপিক নিয়ে কথা বলছে। আমি বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। হিরো আলমের বোঝা উচিৎ ছিল যে, অনন্ত জলিল কে? অনন্ত জলিলের সমাজে কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা আছে।’
এই নায়ক জানান, ব্যক্তি স্বার্থে তিনি তাদের মিট করে দেননি। সবাই ভালোভাবে, এক স’ঙ্গে কাজ করবে এটাই তার কাম্য ছিলো।
অনন্ত জলিল বলেন, ‘মিট করার পরও হিরো আলম এই বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেয়। ভিডিওর ক্যাপশনে সে লিখে, অনন্ত জলিল আমাকে ইউজ করেছে।’
হিরো আলমকে উদ্দেশ্য করে এই নায়ক বলেন, ‘তুমি কী বুঝো ইউজ কাকে বলে? তোমার পাশে যদি কোনো এডুকেটেড পারসন থাকত তাহলে তোমাকে অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দিতে পারত ইউজ করা কাকে বলে। কেউ যদি দিনের পর দিন ব্যক্তি স্বার্থে কাজে লাগিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় তাকে ইউজ বলে। যদিও হিরো আলমকে আমা’র কোনো কাজেই লাগবে না।’
এদিকে হিরো আলম বললেন, ‘আজকে হিরো আলম যা কিছুই হয়েছে, কারও কোনো সহযোগিতা নেয়নি। আমি অনন্ত জলিল ভাইকে কোনো দিন বলিনি, ফোনও দিইনি, যে আপনি আমাকে নিয়ে ছবি কবে বানাবেন? তিনিই আমাকে ডেকে নিয়েছেন।’
বগুড়ার ডিশ ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গানের ভিডিও ও নিজের প্রযোজিত নাটকে অ’ভিনয় করে বেশ পরিচিতি পান।