কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, পর্যটন স্পট, হোটেল গুলো ঈদুল আযহার আগে খোলা হবেনা। কক্সবাজার জেলায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও কক্সবাজারে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক কার্যক্রমের সমন্বকারী হেলালুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার ১১ জুলাই সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে জেলায় কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের সভা সিনিয়র সচিব ও কক্সবাজারে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক কার্যক্রমের সমন্বকারী হেলালুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক এই সভায় কক্সবাজারের সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার), সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, নৌবাহিনীর প্রতিনিধি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া, সিভিল সার্জন এর প্রতিনিধি ডা. আলমগীর মহিউদ্দিন, জেলা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, জেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কক্সবাজারের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ, সমন্বিত ত্রাণ ব্যবস্থাপনা, কক্সবাজারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে হাইফ্লো নজল ক্যানুলার সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ, রামু ও চকরিয়া আইসোলেশন সেন্টারে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের অগ্রগতি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, সিপেভ-ভাইপেভ মেশিন, প্লাজমা ব্যাংক স্থাপন, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন, কন্টাক্ট ট্রেসিং কার্যক্রম, ক্ষুদ্র পরিসরে লকডাউন বাস্তবায়ন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, অনলাইন পশুর হাট পরিচালনা সহ বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷