
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আমাদের সৈকতের অদূরে ডলফিনের দল খানিকটা উঁকি-ঝুঁকি দিলেই সেটা চলে আসে গণমাধ্যমে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমের সৈকত মাংকি মিয়ায় গেলে দেখা যাবে উল্টো চিত্র। সেখানে একেবারে তীরে এসে মানুষকে ‘হাই-হ্যালো’ বলে যায় ডলফিনেরা। রুটিনে একচুলও হেরফের হয় না। প্রতিদিন দু-চারটে ডলফিন আসবেই। মানুষের হাত থেকে আস্ত মাছ না খেয়ে যাবেই না ওরা।
শুরুটা হয়েছিল ১৯৬০ সালে। তখন স্থানীয় জেলেরা বটলনোজ ডলফিনের খাবারের জন্য ছুড়ে মারতো মাছ। ১৯৮০ সালের দিকে অবস্থা এমন হলো যে মাংকি মিয়া সৈকতের ডলফিনেরা মানুষের দেওয়া খাবারের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়লো। গবেষকরা এটাকে ভালো চোখে দেখলেন না। কারণ এতে করে ডলফিনগুলো শিকার করে খাওয়া ভুলে যাবে এবং অকালেই মারা পড়বে। ওই সময় সৈকতে ডলফিনের আনাগোনা ছিল সবচেয়ে বেশি। পরে খাবারে টান পড়ার কারণেই তাদের সংখ্যা কমতে থাকে।

ওই অঞ্চলের মেরিন পার্ক সমন্বয়ক লিউক স্কিনার এবিসি নিউজকে জানালেন, ‘এখন আমরা তাদের চাহিদার ১০ শতাংশ খাবার দেই।’
এদিকে ডলফিনগুলোও বুঝে নিয়েছে ব্যাপারটা। তারাও ঝাঁক বেঁধে আর আসে না। দুই-আড়াইশ’ ডলফিন পালা করে আসে। দিনে চার-পাঁচটা এসে পর্যটকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ সেরে যায়। আর তাদের সান্নিধ্যে সময় কাটাতে সৈকতটিতে বছরে বেড়াতে আসে প্রায় এক লাখ পর্যটক।