এম.এইচ মুরাদঃ
আমদানিকৃত নেসলের ন্যান ব্র্যান্ডের এক কৌটা গুঁড়া দুধের দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা হয়েছিল। এখন দাম বাড়িয়ে শিশু খাদ্যটি বিক্রি হচ্ছিল ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। এভাবেই করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে দাম দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে কিছু অতি লোভী ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এর প্রমাণ পেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। এ অপরাধে তামান্না ফার্মেসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও বেশি দামে পণ্য বিক্রির অপরাধে লাজ ফার্মাকেও জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের বাজার তদারকি করা হয়। এক ক্রেতা অভিযোগ করে জানান, শান্তিনগরের তামান্না ফার্মেসিতে বেশি দামে গুঁড়া দুধ বিক্রি হচ্ছে। অভিযানে গেলে বিক্রেতা দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। কারণ হিসেবে বলেন, করোনার আতঙ্কে যেন ক্রেতারা বেশি না কেনেন তাই দাম বাড়ানো হয়েছে। এ অপরাধে তামান্না ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া বাড়তি দাম ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। পাশাপাশি বেশি দামে যেন আর পণ্য বিক্রি না করে এজন্য সতর্ক করা হয়।