রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর চালের বাজার এখন সিন্ডিকেটের দখলে। সিন্ডিকেটে সক্রিয় অটো রাইস মিলের মালিক ও শতাধিক মজুদ ব্যবসায়ী। বেপরোয়া এই সিন্ডিকেটই নাকি নিয়ন্ত্রণ করছে দাম ওঠানামা, বিক্রি, মজুদসহ এই অঞ্চলের চালের সার্বিক কার্যক্রম। কখনো কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা পূরণে। গত ১০ দিনের ব্যাবধানে চালের দামে ঊর্ধ্বগতি সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার প্রমাণ দিচ্ছে বলে দাবি অনেকের। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় চক্রটি দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে রয়েছে অভিযোগ।
বিভিন্ন মহলের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, এ বছর চাল-সিন্ডিকেট বোরো সংগ্রহের মৌসুমে সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ধান কিনে মজুদ করে রখেছে। এখন ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করছেন চালের বাজার। পাইকারি চাল বিক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার প্রায় ২০০ অটো রাইস মিল মালিক ও শতাধিক মজুদ ব্যবসায়ী বাজার দখল করে রেখেছে।
রাজশাহীর নওগাঁ, নাটোর, তানোর, চাঁপাইনবাগঞ্জসহ জেলার অন্যান্য বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহখানে আগে মানভেদে স্বর্ণা ৫০ কেজির প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। কিন্তু বর্তমানে বস্তা প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এছাড়া কাটারিভোগ সিদ্ধ ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় ও কালিজিরা চাল ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা, আটাশ ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, মিনিকেট ২ হাজার ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, বাসমতি ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, হুট করেই সিন্ডিকেটটি চালের বাজার আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তবে ধানের মজুদ গড়ে তুলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক দাবি করে মিল মালিকরা বলেছেন, সারাদেশে কয়েক হাজার চাল-কল আছে। নওগাঁতে আছে মাত্র ১২০০টি। এর মধ্যে ৫৩টি অটো রাইস মিল। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দেশব্যাপী। ইচ্ছা করলেই শুধু আমরা দাম বাড়াতে পারি না।