এম.এইচ মুরাদ:
হেমন্তের শেষ বেলায় শীত ছুঁই ছুঁই। এতোদিনে মৌসুমীসহ শীতকালীন সবজি বাজারে সয়লাব হলেও দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এতে কৃষকরা খুশি হলেও বিপাকে ক্রেতারা। তবে বেশি মুনাফা লোভে এখানেও রয়েছে মধ্যস্বত্তভোগীদের সিন্ডিকেট। আর এ সিন্ডিকেটের কারণে অনেকাংশে কৃষকরাও দাম পাচ্ছে না।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে মাঝারি আকারের একটি লাউ ৭০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিম ৮০-১০০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা।
চকবাজারের রিপন মিয়া বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত সবজি বিষমুক্ত ও টাটকা। তাই এসব সবজির দাম একটু বেশি। আর এসব সবজি কিনতে আসেন অভিযাত এলাকার বাসিন্দারা। ফলে তাদের কাছে দাম কোন বিষয় না।
শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কৃষকের কষ্টার্জিত ফলানো ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়াতে সিন্ডিকেট কবলের হাত থাকে। এ সিন্ডিকেট না ভাঙলে পরিস্থিতি এমনটাই থাকবে। তাই সিন্ডিকেট ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ ফসলি জমি এখন আবাসন কোম্পানীর বালির তলায়। তবে নদী পারে ও পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ফলন হয়েছে। এসব সবজি বাজারে এলে দাম কমে যাবে আশা করি।
কৃষি কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, সবজির দাম একটি অঞ্চলে কম বা বেশি তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কিছু করার থাকে না। তবে পৌর এলাকায় হলে মান ও অন্যান্য আইনি দিক দেখাশুনার ব্যবস্থা রয়েছে।