স্টাফ রিপোর্টারঃ
চলতি সপ্তাহে প্রতি লিটারে কমেছে ৪ থেকে ৬ টাকা। অথচ একই সময়ে আর্ন্তজাতিক বাজারে টন প্রতি তেলের দাম কমেছে প্রায় দুইশ ডলার। দেশের বাজারে তেলের দাম না কমার পেছনে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমলেও তার খুব বেশি প্রভাব নেই দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
চলতি বছরের মার্চে আর্ন্তজাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম রেকর্ড গড়ে উঠেছিল প্রতি টন ১৯শ ৫৭ ডলার। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে এই দাম ক্রমশ কমতে শুরু করে। চলতি সপ্তাহে দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৭শ ৬০ ডলার। কিন্তু আর্ন্তজাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে যে গতিতে দেশে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছিল, কমার ক্ষেত্রে একেবারেই তা গতিহীন।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে টনপ্রতি উল্টো ৬শ টাকা বেড়ে পাম অয়েল এখন সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি টন ৭ হাজার টাকায়। তাই হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশের মিলগুলো থেকে তেল সংগ্রহে লম্বা লাইনে পড়তে হচ্ছে তাদের। অর্ডারের পর সরবরাহ পেতে ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের ভোজ্যতেলের বাজার শুধু আর্ন্তজাতিক দামের ওপর নির্ভর করে না বলেও দাবি করছেন তারা। তবে খুব শিগগিরই ভোজ্যতেলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।