মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় গোডাউন থেকে ৫৯৫০ মণ পেঁয়াজ ও ৪৫০০ মণ রসুন জব্দ


প্রকাশের সময় :১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ১:১২ : অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে সারাদেশে যখন আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে, ঠিক তখনই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পেঁয়াজ ও রসুন মজুত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে যেসব ব্যবসায়ীরা এসব মজুদের সাথে যুক্ত রয়েছেন তাদের অনেকেই এ ব্যবসার সাথে যুক্ত নন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এমনটিই উঠে এসেছে।

জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কুমারখালী উপজেলার পান্টি বাজার সংলগ্ন ১টি গোডাউন থেকে ৭৫০ মণ পেঁয়াজ জব্দ করেন তারা। এ সময় মোঃ নজির উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই স্থানের অন্য দুটি গোডাউন থেকে ১২০০ মণ পেঁয়াজ জব্দ করা হলেও মালিককে না পাওয়ায় গোডাউন সিল গালা করে স্থানীয় পান্টি ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আক্তারুজ্জামান এর হেফাজতে দেয়া হয়। পরবর্তীতে মালিক পাওয়া সাপেক্ষে প্রযোজ্য দন্ড ও জরিমানাসহ মজুতকৃত পেঁয়াজ ন্যায্য মূল্যে বাজারজাত নিশ্চিত করা হবে বলেও জানা গেছে।

এছাড়া, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা কুষ্টিয়া জেলায় অন্য কয়েকটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে আরও ৪ হাজার মণ পেঁয়াজ জব্দ করেন তারা।

এদিকে, চারটি গোডাউন থেকে ৪ হাজার ৫শত মণ রসুনও জব্দ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ জন্য সাহেব আলী নামের এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মজুতকৃত রসুন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ন্যায্য মূল্যে বাজারজাতের নিমিত্ত উল্লেখিত সাহেব আলীর নিকট থেকে মুচলেকাও গ্রহণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মজুত করে রাখা একাধিক ব্যবসায়ী আগে কখনো পেঁয়াজ মজুত করেননি। শুধু তাই নয়, মজুতকৃত পেঁয়াজের একটি বড় অংশে গাছ গজিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীরা তা বাজারজাত না করে গোডাউনজাত করে রেখেছে।

প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, এটা তাদের নিজেদের অথবা সংঘবদ্ধ একটি চক্র দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার একটি দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকান্ড হতে পারে। পাশাপাশি এসব ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সংশ্লিষ্ট কুচক্রী মহল বা এর পেছনের অপশক্তিকে চিহ্নিত করা যেতে পারে এবং অভিযান অব্যাহত রাখলে বাজারে এর সুফল পাওয়া যেতে পারে বলেও মনে করেন তারা।

ট্যাগ :