মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মসলা সিন্ডিকেট ভাঙতে অভিযান


প্রকাশের সময় :২৯ মে, ২০২৩ ৪:১৫ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

দেশে পর্যাপ্ত মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে গত ৩-৪ মাসে। এ জন্য পাইকারি বা খুচরা কোনো বাজারেই কোনো মসলার কমতি নেই। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো রয়েছে মসলা। অথচ লাফিয়ে বাড়ছে মসলার দাম।

মসলা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দেশের বাজারে মসলার দাম বাড়ছে বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা। মসলার বাজারের এই সিন্ডিকেট ভাঙতে এবার জোরালো অভিযানের কথা বলল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রোববার ঢাকায় টিসিবি ভবনে প্রধান কার্যালয়ে মসলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আসন্ন কুরবানির ঈদ সামনে রেখে মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে মৌলভীবাজার ও শ্যামবাজারে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হবে। বাজারে গরম মসলার মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল মসলার বাজারের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, মৌলভীবাজারের মসলা ব্যবসায়ীরা মূল্য তালিকা ঝোলান না। কোথা থেকে কত দামে এনেছেন তাও জানাতে চান না। ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করেন। এখানে আমাদের কাজ করার জায়গা আছে। মসলার দোকানে টেক্সটাইল কালার ব্যবহার করতেও দেখছি। ফুডগ্রেড কালার নয়।

আদার দাম প্রসঙ্গে শফিকুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামে আমরা বাজার মনিটর করেছি। ঢাকার বাজারও পর্যবেক্ষণ করছি। গরম মসলা এবং আদার ক্ষেত্রে বাজারে একটা অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। দাম বেড়ে যাচ্ছে। কুরবানি ঈদ টার্গেট করে এটা করা হচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টও তাই বলছে।

তিনি বলেন, সোমবার থেকে সারা বাংলাদেশে মসলার বাজার, বিশেষ করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এবং ঢাকার মৌলভীবাজার, শ্যামবাজারের মসলার বাজারে নজরদারি বাড়ানো হবে, অভিযান চলবে। এখানে আন্ডার ইনভয়েসিং হলে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করব। এক সপ্তাহ আমি এটা অবজার্ভ করব। তারপর ডিটেইল রিপোর্ট সরকারের কাছে দেব। ক্যাব থেকে বলা হয়েছে, সব আদা চাইনিজ আদা নামে বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রামে আমাদের ভালো মানের আদা হয়, সেটা হার্ভেস্টিংয়ের আগেই কাঁচা বিক্রি করে অতি মুনাফা করবে, এভাবে দুই ধরনের প্রতারণা চলছে।

অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেন, সারা বছর মসলার বাজার স্থিতিশীল ছিল, এখন যখন ঈদ ঘনিয়ে এলো, ব্যবসায়ীরা মোচড় দিয়ে উঠেছে। ঈদের আগে কেউ কেউ বাজারে কারসাজি করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত আছে।

তিনি বলেন, সোমবার থেকে আমরা সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে যাব। কুরবানি ঈদের ১৫ দিন আগেই যেন বাজার স্থিতিশীল থাকে। এখন থেকে সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। যে প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা না টানানো হবে, এক দিনের জন্য হলেও সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করব। সেই প্রতিষ্ঠানকে শেখানোর দরকার আছে। যদি কেউ কাগজ না রাখে, সেই প্রতিষ্ঠানকে তিন দিনের জন্য বন্ধ করে যাব। যখন ধরা হয় তখন অনেক ব্যবসায়ী মিলে হইচই করে। এই দিন আর নেই। আদাসহ অন্যান্য মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় আমাদের সবগুলো টিমকে নিয়োগ করব। এটা স্থিতিশীল করতে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে যাব। চায়না আদা এখন নেই। চায়না আদার নাম করে অন্য আদা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, এটাও দেখা হবে। আমাদের এবার কঠোরতা থাকবে একটু ভিন্ন রকম।

অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার বলেন, পাইকারিতে ১২৯ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে আদা বিক্রি করা হয়। পাইকারির ১২৯ টাকার আদা খুচরা বাজারে গিয়ে ১০০ টাকারও বেশি লাভ করা হচ্ছে। ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা নিজেদের কমিশন এজেন্ট দাবি করেন। তারা বলেন, এই পণ্যগুলো তাদের নয়। কমিশনের বিনিময়ে পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু উৎপাদকের কোনো ক্যাশমেমো তারা দিতে পারেন না। মৌখিকভাবে এই মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন।

আদার দাম নিয়ে ঢাকা নিউ মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, খুচরা ও পাইকারির মধ্যে এত পার্থক্য হতে পারে না। আপনারা শুধু মার্কেটগুলো মনিটরিং করেন। মহল্লার মধ্যেও এটা হতে পারে। আমি নিজেও ৩০০ টাকা করে কিনেছি আজকে। মূল বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার। আপনারা অভিযানে না গিয়ে, ব্যক্তিগতভাবে বাজারে যান। তা হলে মূল চিত্রটা দেখতে পারবেন। পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন দোকান হয়ে গেছে। তারা অনেকভাবেই বিক্রি করেন। আদা ৫০০ টাকা বলছে, এটি আমি কখনো শুনিনি।

ট্যাগ :