বরিশাল প্রতিনিধিঃ
উপবৃত্তির টাকাকে কেন্দ্র করে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িরচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার কেরানি ও মসজিদের ইমামকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাংসদ পংকজ দেবনাথের অনুসারী ও এলাকার সন্ত্রাসী দল দাদা বাহিনীর লোক হিসেবে খ্যাত মোস্তফা রাঢ়ি এই ধৃষ্টতাপূর্ণ ঘটনা ঘটান।
গতকাল বুধবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ইমামকে এমন অপমানজনক শাস্তি দিয়ে তা ভিডিও করান ওই চেয়ারম্যান।
ইতিমধ্যে এ ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শহিদুল ইসলামকে ওরফে আলাউদ্দিন হুজুরের বিচারের নামে তার দু’হাত বেঁধে জুতার মালা পরিয়ে ছবি তুলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন মেম্বার। এরপর তাকে আটকে রাখেন তারা।
ভিডিওতে দেখা গেছে, আলাউদ্দিনের গলায় জুতার মালা পরান চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি। এসময় চেয়ারম্যানকে পাশে দাঁড়িয়ে ধূমপান করতে দেখা যায়।
পরে তার নির্দেশে ইমামের মাথার টুপিও খুলে নেয়া হয়। চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়িকে অশ্লীল কথা বলতেও শোনা গেছে ভিডিওতে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি একটি জাতীয় গণমাধ্যমকে জানান, মেম্বার শফি দেওয়ান, ফিরোজ মেম্বারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য বজলু আকন, আবুল বয়াতি ও কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এই বিচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আলাউদ্দিন হুজুর উপবৃত্তির ৪ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া ইন্স্যুরেন্সের ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে প্রাথমিকভাবে উপবৃত্তির টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। না দিলে তাকে জুতার মালা পরানো হবে বিচারের রায় হলে তিনি জুতার মালা পরতে রাজি হন।
আইনের আশ্রয় না নিয়ে তারা কেন এই ঘটনা ঘটালেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, যা করে ফেলেছি তা বলে আর লাভ কী?
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি আবিদুর রহমান বলেন- তারা অভিযোগ পাননি, তবে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য।