বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনায় ১৫ আগস্ট যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা একজন সাধারণ বুদ্ধি বিবেচনা সম্পন্ন মানুষের কাছেও মনে হবে এটা অপ্রত্যাশিত। সুস্থভাবে বলতে গেলে ঘটনাটি বাড়াবাড়ি হয়েছে ভুল হয়েছে। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে।
এবিষয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে সব বিষয় পরিষ্কার হবে। তদন্ত শেষে সরকারের প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা স্থানীয় এমপি মহোদয়সহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্ধের কাছে অনুরোধ করেছি তারা তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আর কোন পদক্ষেপ তারা নিবেন না।
১৫ আগস্টের ঘটনায় বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকাল চারটায় তদন্তের অগ্রগতি ও আহত ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নিতে এসে বরগুনা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এ মন্তব্য করেছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান।
এসময় তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথে আমি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। আইজিপি স্যারের সাথে কথা বলেছি। তারা ব্যাথিত হয়েছে। আমরা যেহেতু একটি সরকারি সংস্থা। আমরা আমাদের নিয়মের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ আগামীকালকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত শেষে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-০১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম অ্যাটমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্ধ ও গনমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট সোমবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে তার সমার্থক নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে ফেরার পথে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে আসলে জেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদবঞ্চিত বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য রিসাদ হাসান প্রিন্স, তানিম রহমান ও সাইফুল ইসলাম সমর্থিত পক্ষের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
এ সময় ইটের আঘাতে পুলিশের ব্যবহারকৃত একটি গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। এসময় শিল্পকলা একাডেমীর মধ্যে শোক দিবসের আলোচনা সভা চলছিলো। পরে পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত সবাইকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। এসময় সংসদ সদস্য বেড়িয়ে আসলে তার কাছে বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী গাড়ী ভাঙার কারণ জানতে চান।
এসময় সাংসদ নিজে দোষীকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও পুলিশ সদস্যরা ভিতরে অবস্থিত ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেন।