স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানী ঢাকায় দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে রাতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টি হয়। সেই বৃষ্টিতে নিউমার্কেট এলাকার নূরজাহান প্লাজার সামনের সড়কে (মিরপুর রোড) জমে গেছে হাঁটুপানি। এছাড়া পানি ঢুকে পড়েছে নিউমার্কেটেও। খবর পেয়ে অনেক ব্যবসায়ী রাতেই ছুটে আসেন। তবে সেচপাম্প বসানোতে মার্কেটের পানি কমতে শুরু করে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে দেখা যায়, নিউমার্কেটের পানি প্রায় হাঁটু সমান। পানি কমাতে সেচপাম্প বসানো হয়। কর্মচারীরা ছুটে এসেছেন দোকান দেখতে। পানি জমেছে নিউমার্কেটের সামনের সড়কে। এছাড়া ঢাকা কলেজের মূল ফটক এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মূল ফটকের সামনেও জমেছে পানি।
নিউমার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরী জাহাঙ্গীর বলেন, বৃষ্টিতে পানি জমে গেছে। ড্রেনও ভরা। রাস্তার পানি সব মার্কেটে চলে এসেছে, কারণ রাস্তা উঁচু আর মার্কেট নিচু। রাত ১০টায় পাম্প বসানো হয়।
নিউমার্কেটে একটি দোকানের কর্মচারী শাহজান বলেন, আমার বাসা আজিমপুরে। বৃষ্টি হলে টেনশনে থাকি কখন যে দোকানে পানি উঠে যায়। এজন্যই দোকানের অবস্থা দেখতে এসেছি। পানি উঠলে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।
শুধু নিউমার্কেটই নয়, মাঝরাতে আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বকশীবাজার সড়কেও পানি জমে আছে। একই অবস্থা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়কে। এসব সড়কে পানি জমার ফলে যানবাহনকে ধীরে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে সতর্কবাণীতে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল বিভাগ ছাড়া অন্যান্য বিভাগের কয়েকটি স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে ময়মনসিংহে ৩৪০, নেত্রকোনায় ৩১১, সিলেটে ১৩৬, কক্সবাজারে ৯১ এবং যশোরে ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।