স্টাফ রিপোর্টার:
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা গেলেন নাতাশা জেসমিন (২৫) নামে এক নারী। এ ঘটনায় তার স্বামী আসিফ রহমান খান (৩০) দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আসিফ রহমান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, দগ্ধ আসিফ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শরীরে ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এ ছাড়া ডা. কৌশিক বিশ্বাস (৩২) নামে আরও একজন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। তার বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
দগ্ধ আসিফ রহমান খানের বাবা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক খান জানান, তার ছেলে বের হতে পারলেও, ছেলের বউ স্ত্রী নাতাশা বের হতে পারেননি।
আবু সিদ্দিক খান আরও বলেন, আসিফ ও তার স্ত্রী নাতাশা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। আগুন লাগার পর তারা দরজা দিয়ে বের হতে না পেরে আসিফ জানালা দিয়ে মাথা বের করলে লোকজন তাকে টেনে বের করে। কিন্তু তা স্ত্রী নাতাশা বের হতে পারেনি।
আসিফ রহমান খানের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। তারা ৭৬ শরৎ গুপ্ত রোড গেন্ডারিয়ার নারিন্দায় বসবাস করেন।
এর আগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয়ে চার যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট কাজ শুরু করে। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন র্যাবের কর্মকর্তারা।