স্টাফ রিপোর্টার:
প্রায় ৭৯ বছরের পুরনো আইনের ভিত্তিতে তৈরি মোটরযান অধ্যাদেশ বাতিল করে তৈরি করা হয় ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’। আইনটি প্রণয়ন করা হলেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাধার কারণে তা বাস্তবায়ন করতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। গত ২২ অক্টোবর আইনটি কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করে গেজেট জারি করে সরকার। নতুন আইনে রাখা হয় কঠোর শাস্তির বিধান।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় নতুন আইনে মামলা দেওয়া শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, প্রথমদিনের মতো- যারা উল্টো পথে চলাচল করেছে এবং যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এমন মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও পিকআপের ওপর নতুন সড়ক আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যায় রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উল্টো পথে চালানোর সময় আমিনুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল চালককে আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। আইন ভঙ্গ করায় তাকে নতুন আইনে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়।
মামলার কাগজ হাতে পাওয়ার পর আমিনুল ইসলাম একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, নতুন আইন সম্পর্কে আমি জানি। সন্ধ্যার পর বিজয় সরণি রোডে গাড়ির চাপ ছিলো অনেক। আমার একটু তাড়া থাকার কারণে উল্টো পথ দিয়ে সংসদ ভবন রাস্তার মোড় পর্যন্ত উল্টো পথে আসি।
শেরেবাংলা ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হোসেন একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, দুপুরের পর থেকে নতুন আইনে মামলা শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ৯২ ধারায় চারটি মামলা করেছি। সবগুলোই মোটরসাইকেল। যারা উল্টো পথে আসছে তাদের ভিডিও করে রাখা হচ্ছে। আর এ ধরনের চেকপোস্ট এখন থেকে এভাবেই অব্যাহত থাকবে। রোববার (০১ ডিসেম্বর) থেকে আমাদের মামলার ধারাবাহিকতা আরও বাড়বে।