স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সাময়িক সময়ের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে এরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা পড়েছেন বিপাকে।
গত ২৬ মার্চ থেকে এ রুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে সীমিত আকারে ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পোশাক কারখানা ও মার্কেট খোলার সিদ্ধান্তে দুই সপ্তাহ ধরে যাত্রী ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ বেড়ে যায়।
এছাড়া ঈদ মৌসুম হওয়ায় গত দুদিন লকডাউন ও সরকারি সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢাকামুখী ও ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় ঘাটে। ভিড় এড়াতে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ আজ দুপুর ১২টার দিকে সাময়িক সময়ের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনিকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, গতকাল সকাল থেকে পাটুরিয়ায় যাত্রী ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি আরো জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঈদের ছুটি হলেও গ্রামের বাড়িতে যাওয়া যাবে না। যেখানে ছিলেন সেখানে থেকেই ঈদ করতে হবে। কিন্তু মানুষ সেটা না মেনে ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের বাড়ি ছুটছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় বিআইডব্লউটিসি কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।