মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবনে হারাম পয়সা খাইনি, আমাকে অনুরোধ করে রাখা হয়েছে: ওয়াসার এমডি


প্রকাশের সময় :১০ জানুয়ারি, ২০২৩ ৪:৩৩ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

উচ্চ আদালত তদন্তের আদেশ দেওয়ার পরদিন সাংবাদিকদের সামনে এলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান; বললেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার ১৪টি বাড়ির যে খবর পত্রিকায় বেরিয়েছে, সেটা ‘সর্বৈব মিথ্যা’।

“যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটি বাড়িতে আমার পরিবার সেখানে বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছেন। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।”

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত নিয়ে ওয়াসার এমডির ভাষ্য, “ঢাকা ওয়াসার ভালো কাজ দেখে যাদের ক্ষতি হয়, তারাই এমন অভিযোগ করেন। আমি জীবনে হারাম পয়সা খাইনি। খাবো না। ঢাকা ওয়াসার এমডি পদের চাকরি ছেড়ে দিতে চেয়েছি বহুবার। আমাকে অনুরোধ করে রাখা হয়েছে।”

মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন দুদকের তদন্তের মুখে থাকা তাকসিম এ খান, যিনি ওয়াসার এমডি পদে আছেন ১৪ বছর ধরে। ব্যাপক সমালোচনা থাকলেও দফায় দফায় তার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।

দুর্নীতি দমন কমিশন গতবছরই তাকসিম এ খানসহ ওয়াসার কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের’ অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও (বিএফআইইউ) গত ২৫ অগাস্ট তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি দেয়।

এর মধ্যেই দৈনিক একটি পত্রিকায় গত সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দিয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদনটি হাই কোর্টের নজরে আনলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ সোমবার তদন্তের আদেশ দেয়।

তাকসিম যুক্তরাষ্ট্রে দুর্নীতি করে বাড়ি করেছেন কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় ওই আদেশে।

তাকসিম এ খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি চাকরি করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বাড়ি ও অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে বলে যে খবর গণমাধ্যমে এসেছে, সেটা ‘স্টান্টবাজি’।
“আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে সুপ্রতিষ্ঠিত, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনায় খুব অসুবিধার কিছু নেই। আমার স্ত্রীর নামে ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকে বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট।… বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে এমন নানান রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এগুলো পুরোটাই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা ওয়াসা থেকে অনৈতিক সুবিধা পায়নি, বা পাচ্ছে না, তারাই মূলত এসব করিয়ে থাকে।”

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে তাকসিম বলেন, “আমি সেখান (যুক্তরাষ্ট্র) থেকেই ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। এমন নয় যে এখানে চাকরি করে আমার সম্পদ ওখানে গড়েছি। আমার স্ত্রী সেখানে সরকারি চাকরি করে। আমার সন্তানও সেখানে খুব ভালোমানের চাকরি করে। আমি যে ইনকাম করি, তা থেকে ওদেরকে কিছুই দিতে হয় না। তারা ওখানে অনেক ভালো আছে; যে কারণে আমার স্ত্রীর নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে রিপোর্টে যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তা পুরোপুরি অসত্য।

“এরমধ্যে ৫টি বাসার যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেগুলোতে আমার পরিবার বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছে। কিন্তু মিথ্যা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দেওয়া হলো। আমার ছেলেও একসময় সেখানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল, কিন্তু তা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে অভিভাবক হিসেবে আমার নাম আছে। এই নামগুলো ইন্টারনেট থেকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে।”

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য তালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে তাসকিমের ভাষ্য, “একটা বিল্ডিংয়ে ১০-১৫টা অ্যাপার্টমেন্ট থাকে। সে অ্যাপার্টমেন্টগুলার বর্তমান বাজার দর কত সেটাও আপনারা ওয়েবসাইট থেকে পাবেন। ১০২টা বেডরুমওয়ালা কোন বাসা হয় না, আবার ১০২টা বাথরুমওয়ালা কোন বাসা হয় না। যেগুলা হয়, সেগুলা প্রেসেডিয়েনশিয়াল… যেগুলা আমাদের আলোচনার মধ্যেও নাই। সাধারণত আমেরিকায় এমন কোনো বাসা থাকে না। অতএব এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত, কাজেই এটার কোনো ভিত্তি নেই।”

ট্যাগ :