মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ! পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির কারাগারে


প্রকাশের সময় :৩০ আগস্ট, ২০২৩ ৭:৩৮ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

১৫ কোটি ৪০ লাখ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনে করা মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের (৫৩) জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। জাকির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগে কেনিয়া অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাগেরহাট জেলা সদরের বাসাবাড়ি গ্রামের বাহুরুল হকের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০২২ সালের ১৪ মার্চ দুর্নীতির অভিযোগে আসামি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১), ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি জাকির ২০২১-২০২২ কর বর্ষের আয়কর নথি অনুযায়ী তার নামে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ২৬৩ অযুতাংশ জমির ওপর ৫ তলা ভবনসহ এক কোটি ৫১ লাভ ১০ হাজার ২০০ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে রয়েছে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি, নগদ ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৭০ টাকা ও ব্যাংকে গচ্ছিত ৭২ হাজার ৫০৬ টাকাসহ সর্বমোট ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

ওই সম্পদের বিপরীতে আয়ের উৎস সম্পর্কে তিনি সঠিক তথ্য প্রদর্শন করতে সক্ষম হননি। বিধায় ওই সম্পত্তি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।

তাছাড়া অনুসন্ধানকালে আসামির নামীয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বাগেরহাট শাখায় বিভিন্ন সময়ে ৭ টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৯১৩ টাকা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ভিকারুননিসা নুন স্কুল শাখার একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৪ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ৯৩০ টাকা এবং পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় এফডিআর হিসাবে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৯ টাকাসহ সর্বমোট ৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার দুই টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যাংকগুলোতে লেনদেন হওয়া ওই অর্থের বৈধ উৎস সংক্রান্ত কোনো তথ্য অনুসন্ধানকালে পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ :