মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, রোববার, ৫ মে ২০২৪ ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ডব্লিউএইচএফকে পাশে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রকাশের সময় :৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২:০৮ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে মৌলিক চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের (ডব্লিউএইচএফ) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে শনিবার সকালে ডব্লিউএইচএফের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডা. জগৎ নরুলা সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এই সহযোগিতার কথা বলেন।

নরুলাস্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে মৌলিক চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের (ডব্লিউএইচএফ) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবনে শনিবার সকালে ডব্লিউএইচএফের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডা. জগৎ নরুলা সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এই সহযোগিতার কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের ওপর মৌলিক গবেষণা পরিচালনায় আমাদের সহায়তা করুন এবং আমাদের জনশক্তি বিকাশে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ দিন।’

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।

দেশের সার্বিক উন্নয়নে মৌলিক গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গবেষণায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

বর্তমান সরকারের সময় কৃষি খাতে গবেষণায় সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুধ, মাংস ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ কৃষি খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে প্রধানত গবেষণার অবদান রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা জানান, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি সারা দেশে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন শুরু করেন। কিন্তু কাজ শেষ করতে পারেননি। কারণ, ১৯৭৫ সালে তাকে পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যসহ হত্যা করা হয়েছিল।

জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু করেছিলেন বলেও জানান তিনি।

কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প বন্ধ করে দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করে তার সরকার আবারও ক্লিনিক স্থাপন শুরু করে।

এখন সারা দেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ বিনা মূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ পাচ্ছেন। অসচ্ছল ও দরিদ্র ডায়াবেটিক রোগীরাও বিনা মূল্যে ইনসুলিন পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, সরকার চিকিৎসাবিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য ইতোমধ্যে বিভাগীয় সদরে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং প্রতি বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ভাবছে।

শেখ হাসিনা বলেন, হৃদযন্ত্র, কিডনি এবং ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি উদ্যোগে সরকারি ও বেসরকারি খাতে অনেক বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ খাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধ উৎপাদন এবং বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

ডব্লিউএইচএফের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জগৎ নরুলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং এই অগ্রগতিকে ‘আকর্ষণীয়’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর প্রতিভাবান চিকিৎসক রয়েছেন, যাদের দক্ষতা বাড়াতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে হৃদরোগ নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ, ভারত ও মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য রয়েছে।

ডা. নরুলা অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে মায়েদের সচেতন করার ওপর জোর দেন।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন বৈঠকে জানান, প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র ও অসচ্ছল হৃদরোগীদের জন্য ভালভ, স্টেন্ট ও পেসমেকার কিনতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ৭ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত রোগীদের হার্টে ৩০০টি ভালভ, ৪৫০টি স্টেন্ট এবং ২৫০টি পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর কার্ডিওভাসকুলার ইন্টারভেনশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার মো. (অব.) আবদুল মালিক, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অধ্যাপক চৌধুরী হাফিজ আহসান, অধ্যাপক এমজি আজম ও অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :