স্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকারি চাল আত্মসাৎ, ১৬ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি চাল (জিআর প্রকল্প) আত্মসাতের অভিযোগে ১৬ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৬ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম, ১ নম্বর কামাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী, ২ নম্বর কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম (রফিক), ৩ নম্বর শাখাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তাহাজুল ইসলাম, ৪ নম্বর রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ সরকার, ৫ নম্বর সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাকিল আলম, ৬ নম্বর দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জজ, ৭ নম্বর তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান, ৮ নম্বর নাকাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের প্রধান, ১০ নম্বর রাখালবুরুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহদাত হোসেন, ১১ নম্বর ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান মোল্লা, ১২ নম্বর গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, ১৩ নম্বর কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম রতন, ১৪ নম্বর কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, ১৫ নম্বর শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী ম-ল, ১৬ নম্বর মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ প্রধান, ১৭ নম্বর শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন শামীম ও কাউন্সিলর মোছা. গোলাপী বেগম।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাল কাগজ তৈরি করে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় সভার জিআরের (গ্র্যান্ট রিলিফ) বরাদ্দ দেওয়া পাঁচ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন সরকারি চাল উত্তোলন করেন। পরে সে চাল বিক্রি করে ২২ কোটি ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৯০ টাকা আত্মসাৎ করেন।