স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনার কারণে সংসদ অধিবেশনের কম কর্মদিবস এবং কম বিদেশ সফর ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থাকায় ৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সংসদ সচিবালয় সরকারকে এ অর্থ ফেরত দেবে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংসদ সচিবালয়ের জন্য ৩৪১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ সচিবালয় কমিশনের ৩৩তম বৈঠকে এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থ বছরের মূল বাজেটের তুলনায় এ খরচ ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৩৩৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছিল। আজকের বৈঠকে এ প্রাক্কলন বাজেট কমিয়ে ৩১৬ কোটি ১ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিরীন শারমিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সংসদে বাজেট থেকে কম অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, মে মাস পর্যন্ত ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১৮৯ কোটি টাকা। স্পিকার বলেন, সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমরা অর্থবছর শেষে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ফেরত দিতে পারব। তিনি এজন্য সংসদ অধিবেশন এবং বিদেশ সফর ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজনে কম কার্যদিবসের কথা উল্লেখ করেন।
সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন খাতে ৩৪১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার প্রাক্কলিত বাজেটও অনুমোদন করা হয়। বরাদ্দের মোট পরিমাণের মধ্যে ৮০ লাখ টাকা উন্নয়নের জন্য রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৬৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার বাজেট প্রাক্কলন অনুমোদন করা হয়েছে। বাজেটে কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অধিবেশন চলাকালীন অতিরিক্ত কাজের জন্য ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০০ টাকা, স্বাভাবিক সময়ে একই ভাতা ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা।
এছাড়া সেশন চলাকালীন দুপুরের খাবার ভাতা ২০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। কমিশনের সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ আমন্ত্রণে সভায় উপস্থিত ছিলেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।