স্টাফ রিপোর্টার:
পদ্মা সেতু চালু হবার পর গেল এক বছরে ৭শ’ ৮৮ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হয়েছে। এ সময় সেতু পারপার করেছে ৫৬ লাখের বেশি যানবাহন। সেতু দিয়ে দৈনিক পারাপার হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার গাড়ি। আর প্রতিদিন টোল আদায় হচ্ছে গড়ে প্রায় ২ কোটি টাকা। টোলের টাকায় ইতিমধ্যে সরকারি ঋণের চারটি কিস্তিও শোধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
সফলতা, সক্ষমতা, সাহসের নাম পদ্মা সেতু। এই সেতু বাংলাদেশের এক আবেগের নাম। দেশি বিদেশি নানা চক্রান্ত ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করেই পদ্মা সেতু মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের রূপরেখা জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রায় ১০ বছরের শ্রমের চূড়ান্ত ফল আসে গেল বছরের ২৫শে জুন। পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিনই পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। তবে ওই দিন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হলে পরদিন থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সবশেস চলতি বছরের ২০শে এপ্রিল থেকে আবার সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল করছে।
গেল বছরের ২৬শে জুন থেকে এ বছরের ২১শে জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫৬ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে প্রায় ৭শ’ ৮৮ কোটি টাকা। সেতু বানাতে সরকার অভ্যন্তরীণ ভাবে যে ঋণ করে এই টোলের টাকায় তা শোধ করা হবে আগামী ৩৫ বছরে।
পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের কাজটি যৌথভাবে করছে পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন। আর তা সমন্বয় করছে সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা। দ্বিতল এই সেতুতে এ বছর থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে।