স্টাফ রিপোর্টারঃ
পুলিশের কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন সন্ত্রসের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। হত্যা, লুটপাট, বোমা হামলা, আগুন সন্ত্রাস সব সময় দেশের অর্থনীতিকে স্থিমিত করে। সেক্ষেত্রে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক প্রতিরোধে ব্যাপক প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীর সারদায় বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের (৩৮তম ব্যাচ) শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পুলিশ কাজ করছে জানিয়ে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর কাজের মূল্যায়ন তুলে ধরে বলেন, এ বাহিনীর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে যুগোপযোগী করা হয়েছে। পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে গড়ে তুলতে হবে পুলিশ বাহিনীকে।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী যেন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায়, সন্ত্রাস দমন বা কোনো কাজ করতে গেলে জনগণের সহায়তা একান্তভাবে দরকার। মানুষ যেকোনো বিপদে পুলিশকে পাশে পেলে তারা যেন অত্যন্ত আশ্বস্ত হয়। পুলিশ তার পেশাদারিত্ব ও সহমর্মিতা দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করবে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে রাজশাহী সারদা পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে সারদা একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কর্মকর্তাদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন। এরপর নবীন এ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছাড়াও মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুলিশ একাডেমি সাজানো হয় নতুন সাজে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢাকা হয় পুলিশ একাডেমিসহ আশপাশের এলাকা।
এদিকে সারদা একাডেমির অনুষ্ঠান শেষ করে রাজশাহীর স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নগরীর মাদ্রাসা মাঠে জনসভা শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের জনগণের জন্য বিশেষ বক্তব্য দেবেন। পাশাপাশি ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন তিনি। এর মধ্যে ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং ৫টি চলমান। এরপর ঢাকায় ফিরে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অংশ নেবেন তিনি।