মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত


প্রকাশের সময় :৩ জুলাই, ২০২০ ২:২৮ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ কথা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।

মুখ্য সচিব বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন ও রিমডেলিংয়ের জন্য উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে। শ্রমিকদের আরও দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার। পরে এ কারখানাগুলো পুনরায় চালু হলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের পাওনা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে দেয়া হবে। এ জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য সচিব বলেন, পাটকল শ্রমিকরা এত দিন ঠিকমতো তাদের পাওনা পেতেন না। এখন তাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে। পাওনার ৫০ শতাংশ টাকা নগদ দেয়া হবে। বাকি ৫০ শতাংশ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেয়া হবে। তিনি বলেন, মূলত শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য ৫০ শতাংশ পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেয়া হবে। এতে শ্রমিকরা এখন যে অবস্থায় আছেন তার চেয়ে বেশি ভালো থাকবেন। এর আগে সকালে গণভবনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী কর্মচারীর চাকরি গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসায়নের সিদ্ধান্ত গত রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সেদিন বলেছিলেন, শ্রমিকদের অবসায়নের পর আগামী ছয় মাসের মধ্যে পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) আওতায় আধুনিকায়ন করে এসব পাটকলকে উৎপাদনমুখী করা হবে। তখন এসব শ্রমিক সেখানে চাকরি করার সুযোগ পাবেন।

২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে আট হাজার ৯৫৪ পাটকল শ্রমিক অবসরে গেছেন, তাদের সব পাওনাও একসাথে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন পাটমন্ত্রী।

ট্যাগ :