মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রেড জোন এলাকায় সাধারণ ছুটি যেভাবে থাকছে!


প্রকাশের সময় :১৫ জুন, ২০২০ ২:৩৪ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) অধিক সংক্রমিত এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন করে দেওয়া হবে। ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। তবে অন্যান্য স্থানে আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খোলা থাকবে, চলবে গণপরিবহনও। রেড জোনে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। যাদের খাবার প্রয়োজন তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আজ রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এদিকে রেড জোনে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে ইবাদত ও উপাসনা করার নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে আর ছুটি বাড়ানো হবে না। বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সব কিছু সেভাবেই চলবে। নতুন করে কোনো ছুটি ঘোষণা করা হবে না। তবে যে এলাকা রেড জোনের আওতায় থাকবে, সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত আরও কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাব। সেই পরামর্শ ও নির্দেশনাগুলোকে একত্রিত করে রোববার (আজ) প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করব।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জোনিং করে লকডাউন, এটা খুবই একটা কার্যকর বলে মনে করছি। একই সঙ্গে চার-পাঁচটি স্থান রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হতে পারে। পরীক্ষামূলক লকডাউন চলছে রাজাবাজারে। সেখানকার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোকে সংশোধন করা হবে।

ফরহাদ হোসেন জানান, সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী কোনো এলাকা লকডাউন করতে হলে সেই জেলার সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি নিয়েই করতে হবে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার লকডাউন কার্যকর করবেন।

তিনি জানান, রাজধানী ঢাকার বাইরে যে এলাকায় প্রতি লাখে ১০ জন বা এর বেশি রোগী থাকবে সেখানেই রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে রোগীর অবস্থান করা জায়গা বা এলাকা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। কোন এলাকায় লকডাউন করা হবে তা আগে থেকে বলা হলে তো লোকজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যাবে।

এদিকে গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেড জোনভুক্ত উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে ইবাদত ও উপাসনা করতে হবে।

এ বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়, লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোয় মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনধিক ৫ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের কোনো মুসল্লি মসজিদে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে উল্লিখিত এলাকাগুলোয় অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ে সারা দেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলিগি তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও এ সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।

ট্যাগ :