স্টাফ রিপোর্টার:
মোখার সেন্টার পয়েন্ট হতে পারে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন
বাংলাদেশের দিকে ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এরইমধ্যে এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। রোববার (১৪ মে) দুপুর নাগাদ মোখা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়ের সেন্টার পয়েন্ট (অগ্রভাগ) কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন এলাকা দিয়ে অতিক্রম করার শঙ্কা রয়েছে। এতে প্রবাল এ দ্বীপটি অতিঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী টেকনাফও ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তররের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে বিশেষ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে অনেক ভালনারেবল (দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ) পয়েন্ট রয়েছে। টেকনাফের দক্ষিণে এর অবস্থান। এটা আমাদের (বাংলাদেশ) সর্বশেষ সীমারেখা। সেন্টমার্টিনের খুব কাছ দিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখার সেন্টার পয়েন্ট বা অগ্রভাগ অতিক্রম করবে। ঝড়ের অগ্রভাগ যেদিক দিয়ে যাবে, সেখানে আমার অবশ্যই সিগন্যাল (সংকেত) দেবো। সেখানে ১০ নম্বর সংকেত দেওয়া হতে পারে। এটাই সর্বোচ্চ সিগন্যাল (সর্তক সংকেত)। সেখানে ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ দুই এলাকায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটা সিডরের চেয়েও ভয়াবহ। কিন্তু সিডর অতিক্রম করেছে স্থানভেদে। এটা যদি সিডরের মতো বাংলাদেশে সেন্টার পয়েন্ট (অগ্রভাগ) দিয়ে ক্রস (অতিক্রম) করতো, তাহলে লন্ডভন্ড হয়ে যেতো।’
তবে মোখার সুপার সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান আজিজুর রহমান। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, ‘এটা আই ফরমেশনে (চোখের আকৃতি ধারণ) চলে গেছে, শক্তিও বাড়ছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও টেকনাফের দিকেই এটি অগ্রসর হচ্ছে। মোখা আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘণীভূত হতে পারে। অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার। এটির এখন স্থানান্তরের গতিও বেড়ে গেছে। দূরত্ব ধীরে ধীরে কমছে।’