স্টাফ রিপোর্টার:
বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেন স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে মাসিক সম্মানী ৮ হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৪তম বৈঠকে রোববার এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে যে চিকিৎসা খরচ দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধাদের কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী তা মাসিক হারে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আয়-ব্যয় এবং ব্যাংকে গচ্ছিত তহবিলের হিসাব সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের গৃহীত পদক্ষেপ হিসেবে সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নরত প্রতিজনকে এক হাজার টাকা এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধ্যয়নরত প্রত্যেককে এক হাজার পাঁচশত হারে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত মোট ৩৪৬০ জনকে ছাত্রবৃত্তি দেয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। বৃত্তিপাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা যাচাই বাছাইয়ের ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে বৃত্তিপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব বিবরনী এবং আয়-ব্যয়ের অডিট প্রতিবেদনসহ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত বৃটিশ সৈন্যদের বৃটিশ কর্তৃক যেভাবে আজও স্মরণ করা হয়, বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেভাবে চিরস্মরণীয় করে রাখতে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত কিছু অনিয়ম ও নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট সংসদীয় সাব-কমিটির প্রতিবেদন আগামী ২ মাসের মধ্যে মূল কমিটিতে উপস্থাপন করবেন বলে বৈঠকে জানানো হয় এবং ৩নং সাব-কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য আগামী বৈঠকে উপস্থাপন এবং কল্যাণ ট্রাস্টের অর্গানোগ্রামকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।