স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ক্ষেত্রে গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন-ডাই-অক্সাইডের থেকেও মারাত্মক মিথেন। আর জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার খোদ বাংলাদেশই মিথেনের উৎপাদনে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে বলে মত পরিবেশ বিজ্ঞানীদের।
ক্ষতিকর এই গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে প্যারিসের তথ্য় বিশ্লেষক সংস্থা কাইরোস সাস। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণা করে উক্ত সংস্থাটি।
বাংলাদেশে কী কারণে ক্রমশ মিথেনের নিঃসরণ বাড়ছে তা অবশ্য এখনও গবেষণা সাপেক্ষ। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই পরিসংখ্যান চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিজ্ঞানীদের কপালে।
বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সমস্যা সম্পর্কে আমরা অবগত। মিথেনের সিংহভাগই নিঃসৃত হয় ধানক্ষেত থেকে। চাষের জমি বন্যায় প্লাবিত হলে ফসল পচে প্রচুর মিথেন নির্গত হয়। এছাড়াও জীবাশ্ম-জ্বালানি অন্যতম কারণ। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
বিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মিথেনকে উৎস অঞ্চল থেকে জনবসতিতে ছড়িয়ে দেয় যা উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ। এছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাসের লাইনে ফাটল, কলকারখানার বর্জ্য, জ্বালানির ধোঁয়া ইত্যাদি সমস্যাও রয়েছে।
বাংলাদেশে বাড়তে থাকা মিথেন নিঃসরণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কম উচ্চতা ও অধিক জনঘনত্ব এই অঞ্চলকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
এনভাইরনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ড-এর এর চেয়ারম্যান স্টিভেন হামবার্গ-এর মতে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবিলম্বে খতিয়ে দেখতে হবে। মিথেন নিঃসরণের উৎসগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তা না হলে, আগামী দিন আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।