দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু
দিনাজপুর বড় পুকুরিয়া কয়লাখনিতে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। রোববার ৩ শিফটে এই কার্যক্রম শুরু হওয়ায় খনি কর্তৃপক্ষ এবং চাইনিজ সিএমসি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ফলে উত্তোলিত কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে।
দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে বড় পুকুরিয়া কয়লা খানির নতুন ১৩০৬ নং ফেজ থেকে পুরোদমে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৭শ ৩১.২১১ মে.টন কয়লা। এ মুর্হুত্বে বাংলাদেশী শ্রমিক ৩০৬ জন এবং চাইনিজ শ্রমিক ৩ জন কয়লা উত্তোলনে কর্মরত রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়াজেদ আলী সরকার জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অন্তত একমাসের কয়লা মজুদ রাখতে হয়। কিন্তু সেই পরিমাণ কয়লা নেই। কয়লার মজুদ কমে যাওয়ায় বর্তমানে দুটি ইউনিট চালু রেখে ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন কয়লার প্রয়োজন হয় প্রায় ৪ হাজার মে. টন।
তিনি আরও জানান, জ্বালানীর অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল বিদ্যুৎহীন কিংবা লো ভোল্টেজের কবলে পড়বে। বড়পুকুরিয়া খনিতে পুরোদমে কয়লা উৎপাদন শুরু হওয়ায় তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে প্রধান প্রকৌশলী জানান।
জানা গেছে, তাপবিদ্রুৎ কেন্দ্রের ৩টি ইউনিটের মধ্যে ১ নং ও ৩নং ইউনিট চালু রেখে ৩২৫ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। এই ২টি ইউনিটে প্রতিদিন ২৫০০ থেকে ৩ হাজার মেঃটন কয়লার চাহিদা রয়েছে। কয়লার মজুদ বাড়লে ২নং ইউনিটটি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ২নং ইউনিটটে চালু করতে যান্ত্রিক ত্রুটি নিরসনে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা কার্যক্রম চলমান রেখেছে। ৩টি ইউনিট পুরোদমে চালু করতে হলে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার মেঃটন কয়লার প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনায় পেট্রোবাংলার সাথে সমন্বয় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোদমে চালু রাখতে সার্বক্ষনিক তদারকি কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।