অনলাইন ডেস্কঃ
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে কমবয়সী প্রফেসর হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সুবর্ণ আইজ্যাক বারী। তার বর্তমান বয়স ১০ বছরের কাছাকাছি।
গণিত, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞানে নিজ দক্ষতার পাশাপাশি নিজের লেখা ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থ ও সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইনের কারণে বিস্ময় বালক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে সুবর্ণ। তার জন্ম ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল, নিউইয়র্কে।
সুবর্ণের বয়স দুই বছর থাকাকালেই তার বাবা-মা তাদের সন্তানের মেধার উজ্জলতা আবিষ্কার করেছিলেন। তারা দেখলেন, তাদের শিশুসন্তানটি দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে পদার্থবিদ্যা, গণিত ও রসায়নের মত বিষয়ের জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারছে। উদ্দিপনা এবং আনন্দ থেকেই পরবর্তীতে তারা কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন, যা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।
সুবর্ণ বারী, ভয়েস অব আমেরিকাসহ নিউইয়র্কের প্রচুর স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে সাক্ষাতকার দিয়ে তার বুদ্ধি ও প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা ও তার সহধর্মিনী সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাও সুবর্ণের প্রতিভার বেশ প্রশংসা করেছেন। উজ্জ্বল প্রতিভা ও জনসচেতনতা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০২০ সালের মর্যাদাপূর্ণ ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রোডিজি’ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় সুবর্ণকে ২০১৮ সালে একজন বিজ্ঞানী এবং ২০২০ সালে একজন অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী এই অধ্যাপককে বিশেষ সম্মাননা জানিয়ে বলেন, “সুবর্ণ এমন একজন ব্যক্তি, যিনি খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে একটি ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করেছেন। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে আপনার অর্জন প্রশংসার যোগ্য। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বের বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে আপনার বিস্ময়কর সচেতনতা ও বিশ্বশান্তি প্রচারে সেই সচেতনতা ব্যবহার করার ইচ্ছা আমাকে মুগ্ধ করেছে।”
সম্মাননার স্বীকৃতিপত্রে গভর্নর লিখেছেন,“সব নিউইয়র্কবাসীর পক্ষ থেকে আমি আপনার প্রশংসা করছি। কারন, ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থের মাধ্যমে আপনি সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহনশীলতা জাগানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি এনে দিয়েছেন। আপনার সফলতা অব্যাহত থাকুক, অভিনন্দন ও শুভকামনা।” গত বছরের ১৭ অক্টোবর সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে স্বীকৃতিপত্রটি তুলে দেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
খুদে প্রফেসর সুবর্ণর নামের সঙ্গে ‘আইজ্যাক’ খেতাব জুড়েছে আরেক প্রখ্য়াত পদার্থবিদ তথা গণিতজ্ঞ স্যার আইজ্যাক নিউটনের নাম থেকে। আসলে সুবর্ণর আগে, বিশ্বের ইটিহাসে আইজ্যাক নিউটনই সবথেকে কম বয়সী প্রফেসর ছিলেন। শুধু তাই নয়, তার ক্ষুরধার বুদ্ধি পরিচয় পেলে অনেকেরই মাথায় আসে অ্যালবার্ট আইনস্টানেকর কথা। তাঁর মতোই সুবর্ণও বুদ্ধিতে তার সমসাময়িকদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে। তাই তাকে অনেকে এই যুগের আইনস্টাইনও বলে থাকে। বাংলা ভাষাভাষীদের আশা ও প্রত্যাশা এই বিস্ময় বালক সবার আদরের সুবর্ণ ভবিষ্যতে তার আরও প্রতিভার স্ফূরণ ঘটিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে আরো বেশি অনন্য উচ্চতায়।