স্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তাদের পোষদের চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন খাতে আর্থিক অনুদান প্রদানের বিধান রেখে সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০২২’ নামে বিলটি সংসদে তোলা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী জাকির হোসেন সোমবার (৩১ অক্টোবর) সংসদে বিলটি উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এরশাদ সরকারের আমলে প্রণীত অধ্যাদেশটির আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে সরকার এই আইনটি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিলের বিধান অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়োগের ছয় মাসের মধ্যে ট্রাস্ট নির্ধারিত এককালীন অর্থ ও নির্ধারিত হারে বার্ষিক চাঁদা প্রদান না করলে এই আইনের সুবিধা পাবেন না। বিদ্যমান আইনেও এই বিধানটি রয়েছে তবে সেখানে প্রাথমিক সদস্য ২০ টাকা ও বার্ষিক চাঁদা দুই টাকা। প্রস্তাবিত আইনের চাঁদার পরিমাণ ট্রাস্ট নির্ধারণ করবে বলে বলা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনের মতো প্রস্তাবিত আইনেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হবেন।
বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পোষ্যদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান এবং মৃত শিক্ষকের নাবালক/প্রতিবন্ধী/বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তান/তৃতীয় লিঙ্গের সন্তান/সন্তানদি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের তহবিল হতে প্রদানে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিবার ও তাদের পোষ্যদের কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।