স্টাফ রিপোর্টারঃ
পাসপোর্টের দালালদের কাজকে বৈধতা দিতে এবার তাদের ‘এজেন্ট’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গ্রাহকদের হয়রানি কমাতে ইতিমধ্যে দালালদের আইনি বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তর এরই মধ্যে দালালদের ‘এজেন্ট’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব জানিয়ে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এর সূত্র ধরে এজেন্টদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিধিমালা তৈরির কাজ করছে মন্ত্রণালয় এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোকাব্বির হোসেন বলেছেন, একজন সাধারণ নাগরিক যাতে হয়রানি ছাড়া পাসপোর্ট পেতে পারে সেজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি দালালদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট আবেদনকারী অনেকেই নিজের ফর্ম নিজে পূরণ করতে পারেন না, তার সাহায্য লাগে। অনেকে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতেও পারে না। তখন দালালদের প্রয়োজন হয় তাদের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লিগ্যালি কেউ কাজটা করে না। এখন যাতে তারা আইনসিদ্ধভাবে কাজটি করতে পারে সেজন্য বৈধতা দেওয়ার এ প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে।
জমিজমা ও সম্পত্তির দলিল লেখকদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও যেহেতু বড় অংশের মানুষের এই সাহায্য প্রয়োজন হচ্ছে। সে কারণে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজেন্টের যোগ্যতা কী হবে বা কারা এজেন্ট হতে পারবেন সে নিয়ে কাজ চলছে। সেই সঙ্গে পাসপোর্ট এজেন্ট লাইসেন্সিং নামে একটি বিধিমালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
সচিব বলেন, নতুন ব্যবস্থা চালু হলে সরকার নির্ধারিত যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ পাবেন। একটি নির্ধারিত ফির বিনিময়ে তারা একজন সেবাগ্রহীতাকে পাসপোর্ট ফর্ম পূরণ, ফর্ম জমা দেওয়া এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার মত কাজে সহায়তা করতে পারবেন। ফলে এজেন্টের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ ও আবেদন করতে সরকারি ফির বাইরে একজন গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হতে পারে। তবে ওই ফি সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে না। কারণ যিনি সাহায্য নেবেন কেবল তিনিই ওই ফি দেবেন।