স্টাফ রিপোর্টারঃ
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা সরকারের সক্ষমতার প্রতীক। আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মাইলফলক। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে শত বাধা উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন সততা, স্বচ্ছতা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম থাকলে কিছুই অসাধ্য নয়।’
সোমবার (৬ জুন) শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে করণীয় নির্ধারণী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের মিলনমেলা এবং উৎসবের জনস্রোত হবে পদ্মার পার। এই জনস্রোত সফল করা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হাজির হবেন পদ্মার পাড়ে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের নাম। জাতীয় অহংকার। বিপুল আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষ আত্মশক্তির এ প্রতীক দেখছে।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন। তাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মাওয়া ফেরিঘাটের কাছেই এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুটির নির্মাণকাজ থমকে যায় বিএনপির রাজনৈতিক হীনম্মন্যতার কারণে।
উপমন্ত্রী শামীম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পদ্মা সেতু নির্মাণকে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসেন। শুরুতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকা, আইডিবি এ সেতুর অর্থায়নের অংশীদার হলেও পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক যুক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণেও এ উন্নয়ন অংশীদাররা যুক্ত ছিল। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ায়। এখানে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাজ করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা মাথা নিচু করেননি। তিনি প্রথমেই বলেছিলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। পরে শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন।
এসময় জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, পারভিন হক সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দেসহ জেলা প্রশাসনের সব ঊধ্বর্তন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।