মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে


প্রকাশের সময় :২২ আগস্ট, ২০২৩ ৫:১৯ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

সাধারণ গ্রামীণ জনগণকে ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে ‘ভিলেজ কোর্ট’ তথা ‘গ্রাম আদালত’ ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে ইউএনডিপি’র সহায়তায় সরকার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির এই ব্যবস্থাটি সারা দেশে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

রবিবার (২০ আগস্ট) ইউএনডিপি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে রবিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে গ্রাম আদালত প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সই করেন— অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. সারোয়ার বারী (পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন, অনুবিভাগ) এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

ইউএনডিপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রায় ৩৮ লাখ মামলাজটের কারণে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিদ্যমান আদালতের প্রতিকার পাওয়া দূরূহ বটে! প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তাই প্রায়শই সালিশের জন্য অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়, যা আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

ফলে নারী ও সংখ্যালঘুদের সুবিচার প্রাপ্তির আশা অনেকাংশেই অধরাই থেকে যায়। এই সমস্যার সমাধানকল্পেই স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপি মিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতায় গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুবিচার প্রাপ্তিতে কাজ করছে অ্যাক্টিভেটিং ভিলেজ কোর্টস অব বাংলাদেশ তথা গ্রাম আদালত প্রকল্প।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে ৪৪৫৭টি ইউনিয়নে। পার্বত্য এলাকা ছাড়া পুরো বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদ এই প্রকল্পটির সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অংশীজনের দক্ষতা বৃদ্ধি, নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, সামাজিক উদ্যোগ বেগবান করাসহ যথাযথ পরিবীক্ষণের মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে কাজ করবে প্রকল্পটি।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন কাঠামো ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ পদ্ধতির মাধ্যমে ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ‘গ্রাম আদালত অর্ডিনেন্স ১৯৭৬’ এর বিধানের আলোকে গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইউএনডিপি জানায়, আইনের বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালিত না হওয়ায় ২০০৯ সালে গ্রাম আদালত পুনরায় চালুর প্রকল্প, একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পতিতে সাফল্যের কারণে প্রকল্পটি বিভিন্ন সময়ে সম্প্রসারিত করা হয়। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সাল থেকে পার্বত্য এলাকা বাদে পুরো বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে ইউনিয়ন পরিষদকে কেন্দ্র করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

ট্যাগ :