স্টাফ রিপোর্টারঃ
দুই মামলায় এক মাস আগে জামিন পাওয়ার খবর নিয়ে দু‘দিন ধরে তুমুল আলোচনার মধ্যে আজ রবিবার (৮ মার্চ) অস্ত্র মামলায় ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিনের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাইকোর্ট।
মাদকের মামলাতেও একই ধরনের আদেশ আসছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন স্বপ্রণোদিত হয়ে অস্ত্র মামলার জামিন আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করে বলেছে, ‘নাম বিভ্রাটে’ হয়ত বুঝতে সমস্যা হয়েছিল।
আদালতে এদিন শামীমের পক্ষে ছিলেন মমতাজ উদ্দিন মেহেদী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান।
দুপুরে আদালত বসলে শুরুতেই এফ আর খান বলেন, ‘এই মামলায় (অস্ত্র মামলায়) জামিন আবেদনকারীর নাম লেখা আছে এস এম গোলাম কিবরিয়া কিন্তু আদালতের ওই দিনের (৬ ফেব্রুয়ারি) কার্যতালিকায় নাম ছিল শুধু এস এম গোলাম।
এরপর জিকে শামীমের আইনজীবী মেহেদী আদালতকে বলেন, ‘জামিন আদেশের দিন ওই সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান আদালতেই ছিলেন না।‘
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তখন বলেন, ‘কার্যতালিকায় নামের বিভ্রাট আছে। এ কারণে হয়তো বিভ্রান্তি হয়েছে। আমাদের হয়ত বুঝতে সেদিন ভুল হয়েছে। তাই আমরা জামিনের অর্ডারটি রিকল (প্রত্যাহার ) করলাম।’
ডিএজি ফজলুর রহমান শনিবার বলেছিলেন, ‘জি কে শামীমের জামিনের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের জানা নেই।’
আর রবিবার জামিন আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘নাম নিয়ে বিভ্রাট হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ হয়ত তখন বুঝতে পারেনি।’
একই ধরনের কথা বলেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ডিএজি জান্নাতুল ফেরদৌসও। ওই আদালত থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জি কে শামীমকে মাদক মামলায় এক বছরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেয়া হয়।
ডিএজি জান্নাত আজ রবিবার বলেন, ‘আদালত জামিন আদেশ রিকল করবে। সেজন্য আগামীকাল আদেশের জন্য রেখেছে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। কোর্ট রিকল না করলে আমরা আপিল বিভাগে যেতাম।’