স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারী ও পঞ্চগড় এবং শ্রীমঙ্গলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রো্ববার সকাল ৯টা নাগাদ তা ’প্রশমিত হতে পারে।’ অধিদফতর থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার ’সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর তাপমাত্রা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কুয়াশা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল (রোববার সকাল ৯টা) পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে গত শুক্রবার রাত পৌনে একটার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে একই কারণে ফেরি বন্ধ হয়ে যায় মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে। তবে শনিবার বেলা ১১টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসায় দুই রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তাছাড়া গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জবুথবু রংপুরসহ আশপাশের জেলার মানুষ। বৃষ্টির মতো রাতভর ঝরছে কুয়াশা। অনেক বেলা করেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। তীব্র শীত ছড়িয়ে পড়ায় শীতজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রংপুরে ৯. দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া আজ রবিবার (১জানুয়ারী) উত্তর ও পশ্চিমাংশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ৮থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে।
এদিকে তীব্র কুয়াশার কারণে অনেক বেলা করেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকার তাগিদে রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা চালালেও শীত ও কুয়াশায় যাত্রী না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচটি ইউনিট নিয়ে গঠিত মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছেন ৪২০ জন। আর দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ২৫২ জন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জানান শীত জনিত রোগিদের সংখ্যা স্বাভাবিক তবে বাড়তি নজর রয়েছে তাদের।