মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট


প্রকাশের সময় :৩০ মে, ২০২৩ ৭:৪৮ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

আর মাত্র এক দিন পরেই ঘোষণা করা হবে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। বাজেট মানেই কোন জিনিসের দাম বাড়বে আর কোন জিনিসের দাম কমবে, সেই হিসাব-নিকাশ। এ কারণে সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে কৌতূহল থাকে বাজেট নিয়ে। কার জন্য কী থাকছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- বাচ্চাদের কলম, প্লাস্টিকের সব ধরনের টেবিল ওয়্যার, কিচেন ওয়্যার, গৃহস্থালিসামগ্রী, পকেট টিস্যু, পেপার টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু, মোবাইল ফোন, খেজুর, কাজুবাদামের দাম বাড়তে পারে। কলম উৎপাদনে এতদিন কোনো ধরনের ভ্যাট ছিল না। কিন্তু নতুন বাজেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। প্লাস্টিক সব ধরনের টেবিল ওয়্যার, কিচেন ওয়্যার, গৃহস্থালিসামগ্রী উৎপাদনে এতদিন ভ্যাট ছিল ৫ শতাংশ। নতুন বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। পকেট টিস্যু থেকে শুরু করে অন্যান্য টিস্যুর ওপরও এতদিন ভ্যাট ছিল ৫ শতাংশ। নতুন বাজেটে আরোপ করা হতে পারে সাড়ে ৭ শতাংশ।

মোবাইল ফোন উৎপাদনে এতদিন তেমন কোনো ভ্যাট ছিল না। তারা কর থেকে অব্যাহতি পেয়ে আসছিল। নতুন বাজেটে ভ্যাটের পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে। উৎপাদন থেকে শুরু করে সংযোজন পর্যায়ে এ ভ্যাট আরোপ হতে পারে।

আকাশপথে ভ্রমণেও নতুন করে কর বাড়ানো হচ্ছে। আকাশপথে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণের সময় ভ্রমণ কর ছিল না। নতুন বাজেটে ২০০ টাকা ভ্রমণ কর দিতে হতে পারে। স্থলপথে বিদেশে ভ্রমণের সময়ে ৫০০ টাকা আর নৌপথে ১ হাজার কর দিতে হতে পারে। আকাশপথে সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণের জন্য আগে ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা। নতুন বাজেটে দিতে হবে ২ হাজার টাকা। অন্যদেশ ভ্রমণে আগে ছিল ৩ হাজার টাকা। নতুন বাজেট গুনতে হবে ৪ হাজার টাকা। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্পোডিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, তাইওয়ান, হংকং ভ্রমণে কর দিতে হবে ৬ হাজার টাকা। এখন এ কর আছে ৪ হাজার টাকা। তবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগী, অন্ধ ব্যক্তি, বাংলাদেশি কূটনীতিক, তাদের পরিবার, বিমান ক্রু, বিমানকর্মী, হজ, ওমরাহ যাত্রীদের ভ্রমণ কর দিতে হবে না।

আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া গেলেও নতুন বাজেটে প্রাপ্তিস্বীকার পেতে ২ হাজার টাকা কর দিতে হতে পারে। আর রিটার্ন স্লিপ না দিলে সঞ্চয়পত্র কিনতে কিংবা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, ট্রেড লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস নবায়ন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়ির নকশা অনুমোদনসহ সবমিলে সরকারি-বেসরকারি ৪৪ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে না। করমুক্ত আয়ের সীমা কিছুটা বাড়ছে। বিদ্যমান ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হতে পারে। ব্যাংক ডিপিএসে (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) কর রেয়াতের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাংকে বেশি টাকা জমালে বেশি কর ছাড় পাওয়া যাবে। বর্তমানে ৬০ হাজার টাকা (মাসিক ৫ হাজার ) ডিপিএস কর রেয়াত পাওয়া যায়। নতুন বাজেটে করা হতে পারে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা (মাসিক ১০ হাজার টাকা)।

শেয়ার বাজারে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদের জন্য তেমন কোনো সুখবর থাকছে না নতুন বাজেটে। সেকেন্ডারি মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর না থাকলেও, যারা আইপিওতে বিনিয়োগ করবেন তারা কর রেয়াত পাবেন। আগে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করলে কর রেয়াত পাওয়া যেত।

বিত্তশালীদের সম্পদ ৩ কোটি টাকার বেশি হলে বা একাধিক গাড়ি বা ৮ হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের গৃহ সম্পত্তি থাকলে সারচার্জ বা সম্পদ কর দিতে হয়। নতুন বাজেটে এ সীমা ৪ কোটি করা হচ্ছে। তবে আগের মতো কর দিতে হবে।

নতুন বাজেটে আসছে নতুন কর, যার নাম কার্বন সারচার্জ। ১৫০০ সিসি বা ৭৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়ির জন্য ২৫ হাজার টাকা সারচার্জ দিতে হবে। ১৫০০ সিসি থেকে ২ হাজার সিসি পর্যন্ত বা ১০০ কিলোওয়াট গাড়ির জন্য ৫০ হাজার টাকা সারচার্জ দিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৩০০০ সিসির গাড়ির জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা কার্বন সারচার্জ গুনতে হবে।

দেরিতে রিটার্ন জমা দেওয়ার জরিমানার পরিমাণ বাড়ছে। প্রদেয় করের ২ শতাংশ পরিবর্তে ৪ শতাংশ জরিমানা দিতে হবে। ২০২১-২২ অর্থবছরে রিটার্ন জমা পড়েছিল ২০ লাখ ৫৪ হাজার ২১৫। চলতি অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত ৩১ লাখ ৯৬ হাজার ৭১৬ জন। আগামী বাজেটে টিআইএন বন্ধের বিধিমালা করা হচ্ছে। এর মূল কারণ হবে প্রকৃত করদাতা চিহ্নিত করা। বর্তমানে টিআইএনধারী ৮৬ লাখ । আর রিটার্ন জমা দেন ২৮ লাখ করদাতা।

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো উৎসাহিত করতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হতে পারে। বাড়ানো হতে পারে স্বর্ণ শুল্ক। বিশেষ করে ব্যাগেজ রুলে বেশ কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। বিদেশ থেকে যারা স্বর্ণের বার আনবেন তাদের জন্য বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একটির বেশি ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনলে রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।

আগামী বাজেটে খাদ্যে ২০ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে ভর্তুকি ব্যয় ৮ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা। ওএমএসের জন্য ৪ হাজার ৩৮০ কোটি । খাদ্য আমদানিতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ তেমন বাড়ছে না। এমনকি টিকা খাতে কোনো বরাদ্দ থাকছে না।

নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। বাজেটে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। সুত্র:স,আ

ট্যাগ :