মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কমেছে: যুক্তরাষ্ট্র


প্রকাশের সময় :১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ৭:০৬ : পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কমেছে এবং একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত তদন্ত এবং গ্রেপ্তারের ঘটনা বেড়েছে। গত বছর দেশে তিনটি নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গত বছরের সন্ত্রাসবাদের চিত্র বিশ্লেষণ করে এই মন্তব্য করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘২০২০ কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর কোভিড–১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশে অনেকটা সময় বিধিনিষেধ, কঠোর নিষেধাজ্ঞা কিংবা শিথিল নিষেধাজ্ঞা বজায় ছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আগের বছরগুলোর মতোই বাংলাদেশভিত্তিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) কিংবা আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ২০১৬ সালে ঢাকায় হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এর আগে এ মামলায় ২০১৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। হোলি আর্টিজানে হামলাকারীরা আইএসের প্রতি আনুগত্য দাবি করেছিল। ওই হামলায় একজন আমেরিকানসহ ২০ জনকে হত্যা করা হয়।

সন্ত্রাসবাদবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চলমান ঘাটতি, বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে আদালত চালানোর সীমাবদ্ধতা বেড়ে যাওয়া ও সন্ত্রাসবাদের মামলার এক দশক-দীর্ঘসূত্রতার কারণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ১৫ শতাংশের কম হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতি এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে এর ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেওয়ার বিষয়ে অব্যাহতভাবে কথা বলেছে। জানুয়ারি মাসে সরকারের নতুন জাতীয় সন্ত্রাস দমন ইউনিট কাজ শুরু করে, শেষ পর্যন্ত একটি প্রধান সন্ত্রাস দমন সংস্থা হিসেবে ভূমিকা পালন করতে শুরু করে।

মার্কিন প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সের কাছে বিস্ফোরণের একটি ঘটনা ঘটে। ৩১ জুলাই নওগাঁয় মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনাতেই আইএস দায় স্বীকার করে। চট্টগ্রামের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য এবং একজন সাধারণ নাগরিক আহত হন। নওগাঁর আক্রমণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ২৪ জুলাই ঢাকার গুলশানে পুলিশের মোটরসাইকেলে আইএস অনুপ্রাণিতদের হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়। পরে অবশ্য তা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।

প্রতিবেদনের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে আগের বছরের সন্ত্রাসবাদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ট্যাগ :