এম.এইচ মুরাদঃ
১ জুলাই কঠোর লকডাউন শুরু পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সুযোগ্য নেতৃত্বে এই সংকট মোকাবেলা প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে যার অবস্থান মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। লকডাউনের শুরু থেকেই জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের মাঝে নগদ ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। করোনা এই সংকটে রক্ষাকারী আবাসন কর্তৃপক্ষ আত্মমানবতার সেবায় আশায় এগিয়ে আশায় তাদের ধন্যবাদ জানাই।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রহমতগঞ্জে রক্ষাকালী আবাসন প্রকল্পের পক্ষ থেকে ২০০০ পরিবারের খাদ্য উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, আপনার সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্য দোয়া করবেন তিনি যেনো সুস্থ ও নিরাপদ থেকে এই নেতৃত্ব দিতে পারেন। আজকে উনি আছেন বলেই বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। অনেক দল আছে যারা মানুষের মাঝে হানাহানি, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা করে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চাই।
তিনি বলেন, আজকে সকালে খবরে দেখলাম তালেবান আফগানিস্তান দখল করে ফেলছে। তালেবানী শক্তি কে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, যারা বাংলাদেশে বলতো আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান, এরা কিন্তু বাংলাদেশ ছেড়ে কেউ পালিয়ে যায় নাই। এরা সবাই বাংলাদেশে আছে। এরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম করে বিভিন্ন চেহারা নিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন বলেই এরা নিয়ন্ত্রণে মধ্যে আছে, আর এই গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণে ভিতরে আছে বলেই আমরা বাংলাদেশে শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করছি।
এই মৌলবাদী গোষ্ঠী এক ধর্মের মানুষের সাথে অন্যধর্মের মানুষে ঝগড়া লাগিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি করে সারা পৃথিবীতে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী হিসেবে আমাদের পরিচিত করতে চাই। একই ভাবে অনেক রাজনৈতিক দলও চেষ্টা করছে।
জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন কে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অস্ত্র গোলাবারুদ দেওয়ার কাজ করেছে তারেক রহমান তার মায়ের মদদে। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশ কে আফগানিস্তান বানাবে আর লুটেপুটে খাবে। তারা আজ শান্তিতে নাই কারণ তাদের যে স্বপ্ন বাংলাদেশ কে আফগানিস্তান-পাকিস্তান বানিয়ে লুটেপুটে খাবে সেই স্বপ্ন তারা সফল হয় নাই। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু’র আদর্শে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে। এইভাবে করে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকলে বাংলাদেশে আরো এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ১ কোটি ভ্যাক্সিন এসেছে। আরো ১ কোটি ভ্যাক্সিন আসছে। এভাবে করে মোটজনসংখ্যা বিশাল একটা অংশকে দ্রুত ভ্যাক্সিন প্রদান শেষ করা লউডাউন বা শাটডাউন তুলে দেওয়া হবে। আমরা সবাই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবো।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাতে সুস্থ ও নিরাপদ থাকে তার জন্য আপনারা সবাই দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন।
সুমন কুমার বনিকের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. বিদুৎ বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নিলু নাগ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু।
এছাড়াও রক্ষাকারী আবাসনের পক্ষে বিধান ধর, কৃষ্ণ কর্মকার, পুলক দত্ত, জ্ঞান রঞ্জন নাথ, বিকাশ ধর, কাঞ্চন মল্লিক, শ্যামদাশ ধর, সৈামেল দত্ত উপস্থিত ছিলেন।