মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার বাইরের হাসপাতালে রোগীর চাপ! আইসিইউ সংকট


প্রকাশের সময় :২৫ জুলাই, ২০২১ ৩:৫৮ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঈদের ছুটিতে গিয়ে গ্রামে রয়ে গেছে বিপুল মানুষ। জেলা হাসপাতালগুলো নানা সংকটে জর্জরিত। সেখানে চাপ আরও বাড়ছে।

শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কঠোর বিধিনিষেধে যানবাহন না পেয়ে স্বজনেরা ভ্যানে করে তাঁকে হাসপাতালে আনেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল নগরে।

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় করোনার সংক্রমণ আগে থেকেই বাড়ছিল। এর মধ্যে ঈদুল আজহার ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামে গেছে। ফলে জেলায় জেলায় করোনা রোগী আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

উদ্বেগের দিক হলো, জেলা হাসপাতালগুলো নানা সংকটে জর্জরিত। অনেক হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। কোনো কোনো হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে, তবে তা খালি পাওয়া দুষ্কর। উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থারও ঘাটতি আছে। কোনো কোনো হাসপাতালে এখন রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। চিকিৎসকসহ জনবলের ঘাটতি পূরণের উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না।

এ অবস্থায় ঢাকার বাইরে সংক্রমণ আরও বাড়লে জেলা হাসপাতালে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদেরা যেমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তেমনি উদ্বিগ্ন মাঠপর্যায়ের চিকিৎসকেরাও।

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। এখনই রোগীদের শয্যা দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, এই হাসপাতালে আরও চিকিৎসক দরকার। তিনজন চিকিৎসক এক পালায় ৩০০ রোগীর কীভাবে সেবা দিতে পারেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে সাময়িকভাবে চিকিৎসক পাঠানোর পরামর্শ দেন।

যেসব জেলায় নতুন করে রোগী দ্রুত বাড়ছে তার একটি বরিশাল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বরিশাল জেলায় গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬২ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। শনাক্ত হয়েছেন ৭৬ জন। শনাক্তের হার প্রায় ৪৭ শতাংশ। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা আছে ২৭৮টি। সব কটিতেই রোগী ভর্তি ছিল। ২২টি আইসিইউ শয্যার সব কটিই পূর্ণ ছিল।গতকাল হাসপাতালটিতে দুপুর পর্যন্ত অন্তত ২০ জন রোগী ভর্তির জন্য যান। তাঁদের মেঝেতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমার বাবার অবস্থা খুব খারাপ। আইসিইউতে শয্যার জন্য দুই দিন ধরে চেষ্টা করছি। কিন্তু খালি নেই।’ তিনি বলেন, ‘চোখের সামনে বাবার অসহ্য যন্ত্রণা দেখছি। কিন্তু কিছু করার নেই। নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে।’

বরিশাল ছাড়াও চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, রংপুর ও নরসিংদীর জেলা হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইসিইউ শয্যার সংকট প্রকট। পাশাপাশি কোথাও কোথাও সাধারণ শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। কোথাও অল্প কিছু শয্যা খালি আছে। চিকিৎসকেরা আগামী কয়েক সপ্তাহের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ, জেলা পর্যায়ে মানুষের সংখ্যা এখন আগের তুলনায় বেশি। এবার ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে যাওয়া মানুষেরা বেশির ভাগই ফিরতে পারেননি অথবা ফেরেননি। মোবাইল অপারেটরদের তথ্য ধরে বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা থেকে যাওয়া ৫২ লাখ মানুষ গ্রামে রয়ে গেছেন।

ট্যাগ :