মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুধু বিনোদন বা সংবাদ নয়, জীবন-সমাজ ও দেশ গঠনে কাজ করবে টেলিভিশন : তথ্যমন্ত্রী


প্রকাশের সময় :২২ নভেম্বর, ২০২১ ৬:৩০ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘টেলিভিশন শুধু বিনোদন বা সংবাদের জন্যই নয়, টেলিভিশন জীবন, সমাজ ও দেশ গঠনে কাজ করবে, সেটিই হোক বিশ্ব টেলিভিশন দিবসে আমাদের লক্ষ্য।

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে আজ দুপুরে রাজধানীর বনানীতে একটি অভিজাত হোটেলে এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেলিভিশন চ্যানেলের বিকাশ’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

এটকো’র সভাপতি অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি ডিবিসি২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরীর পরিচালনায় বৈঠকে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা‘র (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, আরটিভি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো: জসিম উদ্দিন, দেশ টিভি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান, একুশে টিভি’র প্রধান নির্বাহী পীযুষ বন্দোপাধ্যায় ও মাছরাঙা টিভি’র বার্তাপ্রধান রেজওয়ানুল হক রাজা বক্তব্য রাখেন। এটকোর পরিচালকবৃন্দ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলসহ জ্যেষ্ঠ টিভি সাংবাদিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব টেলিভিশন দিবসে বৈঠক আয়োজনের জন্য এটকোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আগে একটি টেলিভিশন ছিলো, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু করেছিলেন। আজকে একে একে ৩৪টি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, আরো কয়েকটি প্রস্তুতি নিচ্ছে, ৪৫টির লাইসেন্স দেয়া আছে। সাংবাদিক, কলাকুশলী ছাড়াও টেলিভিশন শিল্পে সবমিলিয়ে প্রায় লাখখানেক মানুষ যুক্ত। আরো অনেকেই কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন বানায় ও বিক্রি করে। প্রায় পাঁচ কোটি বাড়িতে টেলিভিশন আছে। প্রচন্ড ব্যস্ত মানুষটিও একটি সময় একটু হলেও টেলিভিশন দেখেন, আমিও দেখি। সবকিছু দেখার সময়-সুযোগ হয় না, খবর দেখি।’

টেলিভিশনকে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ‘অনেকের ঘরে টেলিভিশন না থাকলেও দেখা যায় চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশনে নাটক, সিনেমা দেখছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মানুষের জীবনের ওপর টেলিভিশনের একটা প্রভাব আছে। পুরো টেলিভিশন শিল্পটা জীবন গঠনে ভূমিকা রাখবে। টেলিভিশন জীবন, সমাজ, দেশ গঠনে এবং রাষ্ট্রকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য টেলিভিশন কাজ করবে, এটিই বিশ্ব টেলিভিশন দিবসে আমার প্রত্যাশা।’

‘প্রধানমন্ত্রী টেলিভিশন লাইসেন্সগুলো একজন একজন করে দিয়েছেন, কোনো টেন্ডারের মাধ্যমে নয়’ স্মরণ করিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যাদেরকে উপযুক্ত মনে করেছেন তাদেরকে দিয়েছেন, যাতে দেশ, সমাজ, সাংবাদিকরা উপকৃত হবে এবং একইসাথে দেশ ও সমাজ গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তাই এদিবসে আমার বিনীত অনুরোধ, আমরা যেন দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ, মূলবোধ এবং মেধায় সমৃদ্ধ একটি নতুন প্রজন্ম গঠনে এই টেলিভিশন শিল্পকে কাজে লাগাতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করবো।’

টেলিভিশন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপগুলো নিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেক সমস্যা সমাধান হয়েছে এবং অনেক সমস্যা আছে। বাংলাদেশে বিদেশি যে কোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে। তবে তাকে আইন অনুযায়ী ক্লিনফিড পাঠাতে হবে। বাংলাদেশের কেউ কেউ বিদেশি চ্যানেলগুলোর ফিড ক্লিন করার দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করছে। এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ, আইন অনুযায়ী ক্লিনফিড পাঠানো বিদেশি চ্যানেলগুলোরই দায়িত্ব। তারা নেপাল, শ্রীলংকা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠায়, সেখানে বাজার অনেক ছোট। আর আমাদের দেশে পাঠাবে না, আমরা দায়িত্ব নিয়ে ক্লিনফিড করবো, তার প্রয়োজন নেই। ক্যাবল নেটওয়ার্কে টিভির ক্রম ঠিক ছিলো না, এখন হয়েছে। ক্যাবল অপারেটররা নিজেরাই বিজ্ঞাপন দেখাতো, সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে এটি দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছি।’

বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন বানালে শিল্পীপ্রতি দুই লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে। এতে আমাদের শিল্পীরা উপকৃত হবে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, মানুষকে ভাবায়, কাঁদায় এমন অনেক দেশি বিজ্ঞাপন আছে। বিদেশি বিজ্ঞাপনকে ডাবিং করে এখানে প্রচার বন্ধ করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করেছি, পদক্ষেপ নেয়া হবে। ক্লিনফিড হওয়ার কারণে দেশের টেলিভিশন শিল্প যে পাঁচশ’ বা সাতশ’ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন হারাতো সেগুলো এখন দেশের টিভিগুলো পাওয়া শুরু করেছে।

দেশে টেলিভিশনগুলোর রেটিং বা টিআরপি একটা সংস্থা করতো, অন্যান্য দেশে কিভাবে করা হয়, বিশেষ করে ভারতে কিভাবে করা হয় অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা একটা সিদ্ধান্ত এসেছি এবং খুব সহসা আমরা এতে শৃঙ্খলা আনবো, জানান তিনি।

ট্যাগ :