টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফ স্থলবন্দরে একদিনে ১১০৩ দশমিক ১৭১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, সোমবার একদিনে ১১০৩ দশমিক ১৭১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মাসে ১৭ হাজার ৯৫২ দশমিক ৯৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েক মাসে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির দিকে ঝুঁকছে। ফলে অন্যান্য পণ্য আমদানি কম হচ্ছে। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবেলায় পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে আরো বেশি উৎসাহিত করা হচেছ।
এদিকে মিয়ানমার থেকে আরো কয়েকশ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভর্তি একাধিক ট্রলার স্থলবন্দরের পথে রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে খালাস হওয়ার পর ট্রাকভর্তি করে সেগুলো চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে একাধিক হাত বদল হয়ে পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
টেকনাফ বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা দাবি করেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। তাই দাম আগের তুলনায় একটু বেড়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এখনো আগের মতো মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। আমরা আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুততম সময়ে খালাসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে চলতি নভেম্বর মাসের ২৫ দিনে ১৭ হাজার ৯৫২ দশমিক ৯৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি হয় ৩৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এর আগে আগস্ট মাসে এসেছে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।