মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফের পোকা পঙ্গপাল নয়, ঘাসফড়িং!! কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদল


প্রকাশের সময় :২ মে, ২০২০ ২:১৪ : অপরাহ্ণ

টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফের পোকা পঙ্গপাল নয়, ঘাসফড়িংয়ের একটি প্রজাতি বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল। শনিবার (২ মে) খামার বাড়ির উপ-পরিচালক (সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা) মো. রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দশ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল টেকনাফের লম্বরী গ্রামের সেই বসতভিটা পরিদর্শণ শেষে এ অভিমত প্রকাশ করেন।

এ সময় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর নির্মল কুমার দত্ত। তিনি বলেন, পোকাগুলোর চরিত্র ও গঠনসহ সার্বিক বিষয় দেখে প্রাথমিকভাবে প্রতিনিধি দল একমত হয়েছেন যে আসলে এগুলো পঙ্গপাল নয়, ঘাসফড়িংয়ের একটি প্রজাতি। আর এ ঘাসফড়িংগুলো আগে থেকেই এদেশে রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-বার্মাসহ বিভিন্ন দেশে এই পোকা দেখা যায়। স্থানীয় কৃষকরা এটিকে বার্মা চন্ডালি নামে চিনে থাকে বলে জানান তিনি। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে অলার্ফেস মিলিয়ারিস। এটি মূলত একটি অপ্রধান ক্ষতিকারক পোকা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় জনসাধারণ ও কৃষকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহবান জানান এই প্রতিনিধি দল।

তিনি আরও জানান, কিছু জীবিত পোকা নমুনা হিসাবে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। গবেষণাগারে আরও পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর পরবর্তীতে চূড়ান্ত একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।এছাড়া পোকাগুলোকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের লম্বরী গ্রামে সোহেল সিকদারের বসতভিটায় পৌঁছেন। যেখানে গত দুই সপ্তাহ ধরে পোকাগুলো দেখা যাচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার কক্সবাজার কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেমের নেতৃত্বে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ৩ সদস্যসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। তারাও একই কথা বলেছিলেন।

এছাড়া গত ১৮ এপ্রিল সোহেল সিকদার বসতভিটার কয়েকটি গাছে ঝাকে ঝাকে পোকাগুলো দেখতে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করেন। তখন থেকে পোকাগুলো পঙ্গপাল বলে প্রচার হতে থাকে। এনিয়ে জনসাধারণের মাঝে আতংক দেখা দেয়। পরে উপজেলা কৃষি বিভাগ ঘটনাস্থলে কীটনাশক ছিটিয়ে দিলে পোকাগুলো মারা যায়। এভাবে বেশ কয়েকদফা কীটনাশক ছিটানো হলেও পতঙ্গগুলো অধিকাংশ মারা গেলেও সর্ম্পর্ণ নির্মূল করা যায়নি।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক (সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা) মো. রেজাউল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত, ড. একেএম জিয়াউর রহমান, মো. শরফুদ্দিন ভূঁইয়া, পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আইপিএম স্পেশালিস্ট আরিফুর রহমান শাহীন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নাজমুল বারী, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. পান্না আলী, চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দীন প্রমুখ। এ সময় টেকনাফ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :