এম.এইচ মুরাদঃ
করোনা মহামারিতে ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
করোনা মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩.২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭.৯ শতাংশের সমান। বিদায়ী অর্থবছরে মুস্তফা কামালের দেওয়া বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮.৩ শতাংশের সমান।
প্রস্তাবিত বাজেটে কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা নিচে তুলে ধরা হলো-
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ২৭ কোটি টাকা, জাতীয় সংসদ ৩৩৫ কোটি টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ৩ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ২৫৮ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২২২ কোটি টাকা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কর্মকমিশন ১০৪ কোটি টাকা, অর্থবিভাগ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮ কোটি টাকা, বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ২৬৫ কোটি টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৪ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ৩৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২২ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ১ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৭ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ৮৬০, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৩৫০, গৃহায়ন ও গণপূর্ত ৬৯৩৬,তথ্য মন্ত্রণালয় ১০৩৯, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৫৭৯ কোটি টাকা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৬৯৩ কোটি টাকা,, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১৪৭৪ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩৬ হাজার ১০৩ কোটি টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ২২৩৫, শিল্প মন্ত্রণালয় ১৬১৪, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৬৪২ কোটি টাকা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৭১৪।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ১৯০৫, কৃষিমন্ত্রণালয় ১৫ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ১৯৩, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা, ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৪ কোটি টাকা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৮০৮৯ কোটি টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ৬০৪৮ কোটি টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয় ৯৮৩৬ কোটি টাকা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৯ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৬ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ৪ হাজার কোটি টাকা, বেসামরিক বিমান ও পরিবহন মন্ত্রণালয় ৩ ৬৮৮ কোটি টাকা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১২৩৫ কোটি টাকা, বিদ্যুত বিভাগ ২৮ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৪ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা, দুর্নীতি দমন কমিশন ১৫০ কোটি টাকা,সেতু বিভাগ ৭ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা,স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ৬ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। সর্বমোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৩ হাজার ৯৪ কোটি টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ৫ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা, পরিকল্পনা বিভাগ ১ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ১৪৮ কোটি টাকা। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৩৮৩ কোটি টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগ ২২ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ৪০ কোটি টাকা।