মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চম্পাকে ধর্ষনের পর হত্যা করে পালিয়ে যায় সিএনজি চালক ও তার সহযোগিরা


প্রকাশের সময় :৯ মে, ২০২০ ৬:৫১ : পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলন্ত সিএনজি টেক্সী থেকে জবাই করা মরদেহ ফেলে দেয়া তরুণীর হত্যাকারিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫ এর সদস্যরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় র‍্যাব-১৫ এর মিডিয়া সমন্বয়ক আবদুল্লাহ মো. শেখ শাদী এক তথ্য বিবরণীতে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সিএনজি চালককে গ্রেফতার এবং সিএনজিটিও জব্দ করা হয়েছে। তবে কোন সময় কোথা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা না হলেও তার সাথে থেকে ধর্ষণকারি অপর যুবক এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানানো হয়। তাকে গ্রেফতারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ধর্ষণ ও হত্যাকারী হিসেবে স্বীকারোক্তি দেয়া গ্রেফতার নরপিশাচ মো. জয়নাল আবেদীন (১৮) কক্সবাজারের পেকুয়ার মেহেরনামার নন্দীরপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তার সাথে জড়িত পলাতক সাজ্জাদ হোছাইন (৩০) পেকুয়ার শেখেরকিল্লার আবুল হোছাইনের ছেলে। তাকে ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে র‍্যাবের বিশেষ টিম।

হত্যার শিকার তরুণী চম্পা খাতুন (১৮) কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ার নয়াপাড়ার নছিমন চালক রুহুল আমিনের বড় মেয়ে ও রামুর তেচ্ছিপুল এলাকার শাহ আলমের স্ত্রী। লকডাউন শুরুর আগে চট্টগ্রামে ফুফুর বাসায় বেড়াতে গিয়ে মা-বাবার জন্য মন কাঁদায় শত নিষেধের পরও বুধবার লকডাউন ঝুঁকিতে সিএনজি টেক্সি যোগে সে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে চকরিয়া এসে হত্যার শিকার হন।

র‍্যাব-১৫ সূত্র জানায়, লকডাউনের মাঝে গত বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ার নয়াপাড়ায় বাবার বাড়িতে আসছিলেন ১৮ বছরের তরুণী চম্পা। সন্ধ্যার দিকে চকরিয়া সীমান্তে পৌঁছার পর তাকে সিএনজি চালক পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়। রাতে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী আঞ্চলিক সড়কের চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের মরং ঘোনা এলাকায় গলাকেটে তাকে হত্যার পর সিএনজি থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। ফেলে দেয়ার সময় মরদেহটির মুখ ওড়নায় পেঁচানো অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

‘মর্মান্তিক ঘটনাটি জানার পর র‍্যাব-১৫ বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানাগেছে তাকে হত্যার আগে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। তখন তাকে চট্টগ্রাম থেকে বহন করে আনা সিএনজি চালকের মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে তদন্তে নামে র‍্যাব সদস্যরা। তার এবং পেকুয়া সড়কে চলাচলকারী সিএনজি সমিতির লাইনম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় নিহত চম্পাকে সর্বশেষ বহন করা সিএনজির চালক জয়নালকে সনাক্ত করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল তরুণী চম্পাকে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণও করা হয় বলে জানায় জয়নাল। তার এ কাজে সহযোগী হয়েছে সাজ্জাদ। দুজন মিলেই তাকে ধর্ষণ ও হত্যার পর নিজেদের বাঁচাতে সড়কের উপর ফেলে দেয়া হয় বলেও জানায় গ্রেফতার জয়নাল।’

চম্পার মামা কলিম উল্লাহ জানিয়েছিলেন, দারিদ্রতার কারণে রামুর তেচ্ছিপুলের শাহ আলম নামে এক যুবককে ঘর জামাই রেখে সুশ্রী চম্পাকে ৪-৫ মাস আগে বিয়ে দেয়া হয়। এতে মনঃক্ষুণ্ন ছিল চম্পার। বাড়িতে বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে স্বামীর সাথে কলহের জেরে পরিবারের উপর মন খারাপ করে মার্চের শুরুর দিকে চম্পা কাউকে কিছু না বলে চট্টগ্রামে তার ফুফুর বাসায় চলে যান। যাবার কয়েকদিন পরই শুরু হয় লকডাউন। রাগ কমে গেলে বাড়ি চলে আসার জন্য পীড়াপিড়ি করছিল চম্পা। এ কঠিন মুহুর্তে আসতে বারণ করা হচ্ছিল বার বার। কিন্তু বুধবার সকালে জেদ ধরে বলে পায়ে হেটে হলেও বাড়ি চলে আসবে। তখন তার বাবা তার জন্য এক হাজার টাকা বিকাশে পাঠায়। তার ফুফাতো ভাই তাকে নতুন ব্রীজ এলাকায় এসে মিজান নামের এক চালকের সিএনজিতে তুলে দেয়। সর্বশেষ যখন তার সাথে যোগাযোগ হয় তখন সে চকরিয়ার জনতাবাজার (গরুবাজার) পর্যন্ত এসেছে বলে জানিয়েছিল।

‘মহাসড়ক দিয়ে গাড়ি না আসায় উপকূলীয় সড়ক দিয়ে কক্সবাজার নেয়ার কথা বলে আরেকটি সিএনজিতে উঠে বলে চট্টগ্রাম থেকে আসা সিএনজি চালক জানিয়েছিল। এটি সন্ধ্যার আগে। কিন্তু এরপরই চম্পার সাথে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বাবা-মার অস্থিরতা বাড়ার পর রাত ১১টার দিকে সড়কে মরদেহ পাবার খবর পেয়ে সবাই চকরিয়া থানায় এসে গলাকাটা মরদেহটি চম্পার বলে সনাক্ত হয়।’

কলিম উল্লাহর মতে, লকডাউনে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বের হওয়াটা-ই কাল হলো তরুণী চম্পার।

এদিকে, ক্লু-হীন চম্পা হত্যার ঘটনার একদিনের মাথায় হত্যাকান্ডের তথ্য উদঘাটন ও হত্যাকারি গ্রেফতার করায় র‍্যাব-১৫ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান পরিবার ও স্থানীয়রা।

ট্যাগ :