এম.এইচ মুরাদঃ
সারা বিশ্ব এখন করোনা সংক্রমনে আক্রান্ত। বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রাম মহানগরীও এর বাইরে নয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শহরকেও লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। আর এই অবস্থায় করোনা ভাইরাসের কারণে নিম্নবিত্ত পরিবারের পাশাপাশি এবার মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও পড়েছে আর্থিক ও খাদ্য সংকটে। তাই অসহায় অবস্থায় থাকা কর্মহীন, নিম্নবিত্ত পরিবারের পাশাপাশি এবার মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পেইজে মেসেজ করে সহায়তা চাওয়া ৩২১ পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে শুক্রবার (১০ এপ্রিল)।
গত দুদিনে পেইজে মেসেজ করে দেয়া ব্যক্তিদের বাড়ির ঠিকানায় এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
এছাড়া আরও যারা রয়েছেন তাদের ঠিকানায়ও ২/৩ দিনের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
যারা পেইজে মেসেজ দিয়ে শুধু মোবাইল নম্বর দিয়েছেন, কিন্তু ঠিকানা দেননি- তাদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে অনুরোধ জানিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, যার খাবারের প্রয়োজন কেবল তিনিই যাতে মেসেজ দেন। একজনের হয়ে অন্যজন যাতে মেসেজ না দেন।
এর আগে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নবিত্ত পরিবারের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
নগরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগরিকরা তাদের মোবাইল নম্বার ও ঠিকানা জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ফেসবুক পেইজে মেসেজ করলে গোপনে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার সকাল থেকে মাইক্রো ভর্তি এইসব খাদ্য সামগ্রী তালিকা অনুযায়ী মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে শুরু করেন মেয়র আজম নাছির উদ্দিন। এসময় তার সাথে ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক আবদুর রশীদ লোকমান।
গত ৭ এপ্রিল মেয়র তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়ার পর মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার সাহায্যের আবেদন জানান। এরপর মেয়রের উদ্যোগে গোপনে তাদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে বসবাস করা মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগরিকরা তাদের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পেইজে মেসেজ করলে গোপনে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কর্মসূচির জন্য আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে গোপনে ও সুন্দরভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায়। করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে যে সকল মধ্যবিত্ত পরিবার আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে চাল-ডাল কিনতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তারা আমার এই পেইজে এসএমএস’র মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আপনার পরিচয় গোপন থাকবে। অবশ্যই মোবাইল নম্বর, পূর্ণ ঠিকানা দিতে হবে, যাতে যাচাই বাছাই করে সঠিক কিনা জানতে পারি। এখানে কোন সংঘ কিংবা গোষ্ঠীকে তালিকাভুক্ত করা হবে না। শুধু একটি পরিবার একটি এসএমএস ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করা হবে মেয়র জানান।