এম.এইচ মুরাদ:
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এবং কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৫ আগস্ট শনিবার দিনব্যাপী শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, মিলাদ মাহফিল, দোয়া এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইসালে সওয়াব মাহফিল উপলক্ষে সকালে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, আশপাশের পাড়া-মহল্লা, বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এসব খাবার বিতরণ করা হয়।
শনিবার আছর নামাজের পর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো চেয়ারম্যান শিল্পপতি ও বিশিষ্ট দানবীর আলহাজ্ব হাসান মাহমুদ চৌধুরী সিআইপি।
কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ইউসুফ সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সেক্রেটারি ওসমান গণি, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যান সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব তৌফিক হোসেন, অর্থ সম্পাদক নুরুল আফসার, প্রচার সম্পাদক লুৎফুল করিম সোহেল, ডাক্তার আবু নাসের প্রমুখ।
প্রধান অতিথি হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না হলে বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড আমরা পেতাম না। পেতাম না লাল সবুজের বাংলাদেশ ও জাতীয় পতাকা। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি আরও বলেন, যতদিন বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড থাকবে, লাল সবুজের পতাকা যতদিন উঠবে, ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের হৃদয়ে থাকবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর লালিত সপ্ন পূরণে এবং দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া দেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে একাকত্বা ঘোষনা করছি। আমি ১৫ই আগস্ট নরপশু খুনীদের হাতে শাহাদাত বরণকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের প্রতি বিনম্র শ্রব্দা জানাচ্ছি।”
আলোচনা সভা এবং মিলাদ মাহফিল শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম মাওলানা অলী উল্লাহ।