স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড দ্বিতীয় ইউনিট (ইআরএল-২) কাজে যুক্ত হতে যাচ্ছে এস আলম গ্রুপ।
১৯৬৮ সালে পরিশোধন কেন্দ্রটিতে উৎপাদন শুরু হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড নিজস্ব পরিশোধন ইউনিটের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করে থাকে। বছরে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করতে সক্ষম ইউনিটটি, যা দেশের মোট চাহিদার মাত্র ২০ ভাগ। বর্তমানে বিপিসির বার্ষিক জ্বালানি তেলের (পরিশোধিত ও অপরিশোধিত) চাহিদা ৬০ লাখ টন। জ্বালানী তেলের পরিশোধন, মজুদ ও সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের দ্বিতীয় ইউনিট (ইআরএল-২) নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো এ সক্ষমতা বাড়িয়ে ৪৫ লাখ টন করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তেল শোধনের ক্ষমতা তিনগুন হবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিপিসির নিজস্ব ১২৩ একর জমিতে ১৯ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে (আগের হিসাব অনুযায়ি) ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
এখন এই নির্মাণ কাজে যুক্ত হতে যাচ্ছে এস আলম গ্রুপ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি ইস্যুকৃত ও মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বা এর সাবসিডিয়ারি ইআরএল এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ প্রকল্পের কারিগরি ও আর্থিক, বাস্তবায়নের মোডালিটি, বাস্তবায়নোত্তর ব্যবস্থাপনা কৌশল ও ইকুইটি হিস্যাসহ আনুষঙ্গিক সব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করবে। যৌথ চুক্তির আওতায় বিপিসির নিজস্ব জমিতে তিন-পাঁচ মিলিয়ন টন ক্ষমতাসম্পন্ন এ রিফাইনারি স্থাপনে এস আলম গ্রুপের সমঝোতা স্মারক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি কমিটি গঠনের কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। ঐকমত্যে পৌঁছালে দুই পক্ষ একযোগে এসপিভি (স্পেশাল পারপাস ভেহিকল) কোম্পানি গঠন অথবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।