স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এজন্য আগামী পাঁচ বছর ব্যাংক ঋণ পেতে সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশ ঋণ দেয়ার হিসাব কার্যকর হবে না।
বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণসীমা ৬ মাসের জন্য তুলে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার এই সুযোগ আগামী পাঁচ বছরের জন্য বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণ সীমা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ব্যয় যেমন জমি ক্রয়, মেশিনারি আমদানি ও ক্রয় বাবদ ব্যয়, মেশিনারি স্থাপন সংক্রান্ত ব্যয়, মেরামতের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এজন্য আগামী পাঁচ বছর ব্যাংক ঋণ পেতে সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশ ঋণ দেয়ার হিসাব কার্যকর হবে না।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো একক গ্রাহককে (কোম্পানি, ব্যক্তি ও গ্রুপ) ব্যাংকের মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন সার্কুলারে আগামী ৫ বছর এ ধরনের ঋণসীমা তুলে দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত জুলাইয়ে ছয় মাসের জন্য এমন নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর খরচ বেড়েছে। সে কারণে এই সুবিধা দেয়া হয়েছে।